
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর ইউনিয়নের তালুকদার পাড়ার প্রবাসী মোহাম্মদ রুবেলের মরদেহ দেশে ফিরেছে একটি কফিনে বন্দী হয়ে। কিন্তু প্রবাসীর লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফেরার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই স্বজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের কালিকাপুর এলাকায় লাশবাহী গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লরিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন। দুর্ঘটনার পর পরই পালিয়ে যায় চালক।
নিহতরা হলেন- চট্টগ্রামের ভুজপুর থানার পূর্ব ভুজপুরের ফুল মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া ও জয়নাল আবেদীনের ছেলে ওসমান গণি।
জানা গেছে, এক বছর আগে সৌদি আরবে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ২০২৪ সালে পরিবারের অভাব দূর করতে এবং ভবিষ্যতের স্বপ্ন পূরণের আশায় সৌদি আরবে পাড়ি জমান রুবেল। কিন্তু সেখানে তার প্রবাস জীবন হয়ে ওঠে বিভীষিকাময়। ক্ষুধার্ত অবস্থায় মালিকের অনুমতি ছাড়া একটি বার্গার খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় তার ওপর নির্মম নির্যাতন। মারধরের ফলে গুরুতর আহত রুবেল চিকিৎসাধীন ১৭ জুলাই ২০২৪ সালে মদিনার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
তার মৃত্যুর পর শুরু হয় দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া ও লাশ ফেরত আনার লড়াই। অবশেষে এক বছর পর সেই লাশ নিয়ে আসা হয় দেশে। এরপরই প্রবাসীর লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরছিল স্বজনরা। শনিবার বিকেলে ঢাকা মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের কালিকাপুর এলাকায় লাশ বাহী গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লরিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন। দুর্ঘটনার পর পরই পালিয়ে যায় চালক।
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট মো. সাকলাইন বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত অ্যাম্বুলেন্স ও মরদেহ উদ্ধার শেষে থানায় আনা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পাঠকের মতামত