প্রকাশিত: ১৯/০৮/২০১৯ ১০:২৭ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
প্রত্যাবাসন ঘিরে রোহিঙ্গা শিবিরে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সরকার ও এনজিও সংস্থার লোকজনের দফায় দফায় বৈঠক চলছে। বৈঠকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রত্যাবাসন নিয়ে গুজব ও অপপ্রচার রোধে রোহিঙ্গাদের চেয়ারম্যান, টিম লিডার, হেড মাঝি, বল্ক মাঝি, মাস্টার, ইমাম, মুরব্বি ও রোহিঙ্গা নারীসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থার লোকজন উপস্থিত রয়েছেন।

এ বৈঠকে কোনও রোহিঙ্গাকে জোর করে মিয়ানমারে পাঠানো হবে না বলে জানানো হয়েছে। সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুর থেকে টেকনাফের জাদিমুরা শালবন রোহিঙ্গা শিবিরের বিভিন্ন ব্লকে বৈঠক চলছে।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন হলে সেদেশে কি পরিস্থিতি হবে তা নিয়ে টেকনাফের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে রাখাইন ভাষায় লেখা লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এই লিফলেটের উপরে মিয়ানমারের সরকারের মনোগ্রাম দেখা গেছে।

গত রোববার (১৮ আগস্ট) বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টেকনাফের জাদিমুরা শালবন রোহিঙ্গা শিবিরে একটি গাড়িতে করে কিছু লোকজন এ সব লিফলেট বিতরণ করেছেন। এছাড়া নায়পাড়া ও লেদা রোহিঙ্গা শিবিরেও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এই লিফলেটে চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে মিয়ানমারে ফিরে গিয়ে, সেখানে রোহিঙ্গাদের জীবন-যাপন কেমন হবে তা তুলে ধরা হয়েছে।

তবে এই নিয়ে রোহিঙ্গারা ভিন্নমত পোষণ করেছেন। কিছু রোহিঙ্গা বলছেন, মিয়ানমারে ফিরে যেতে উদ্বুদ্ধ করতে এসব করা হচ্ছে।

এদিকে মিয়ানমারের ভাষায় লিফলেট পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন টেকনাফের শালবন রোহিঙ্গা শিবিরের নেতা বজলুল ইসলাম।

তিনি এই লিফলেটের বিবরণ দিয়ে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, মূলত ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ডকে (এনভিসি) গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সেখানে। যেসব রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফিরে যাবেন, তাদের প্রথমে এনভিসি কার্ড দেওয়া হবে। তারপর এই কার্ড নিয়ে তাদের দেশীয় নাগরিকত্বের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে। এনভিসি কার্ডের মেয়াদ থাকবে দুই বছর। এর ভেতরে আবেদন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যেসব মানুষ সড়কপথে ঘুমধুম দিয়ে ফিরে যাবেন তারা সেদেশের তমব্রু এবং যারা নদী পথে টেকনাফের কেরুণতলী ঘাট দিয়ে ফিরে যাবেন তাদের গজবিল লম্বা হালি নামক এলাকায় এক-দুই দিন থাকতে হবে। এরপর সেখান থেকে তাদের মংডু এলাকার আইডিপি ক্যাম্পে রাখা হবে দুই মাস।

নাম না বলার শর্তে এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, শিবিরে কাজ করছে এমন একটি এনজিও সংস্থার কর্মীরা গাড়িতে করে এসে মিয়ানমারের ভাষায় লেখা লিফলেট বিতরণ করছেন।

পাঠকের মতামত