ভুয়া নথি দিয়ে ভারতীয় আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড এমনকি পাসপোর্ট সংগ্রহ করার অভিযোগে ভারতের হায়দরাবাদের বালাপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে তিন রোহিঙ্গা মুসলিমকে। এর মধ্যে একজন নারীও রয়েছে।
এই তিন রোহিঙ্গাই ২০১৩ সালে মিয়ানমার থেকে শরণার্থী হিসাবে হায়দরাবাদে প্রবেশ করে। যদিও সেসময় নিজের আসল পরিচয় গোপন করে স্থানীয় পরিচয়পত্র জোগাড় করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার পুলিশ কর্মকর্তা ভি সাইদুলু আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান ‘হায়দরাবাদে প্রবেশের পরই সেই তিন রোহিঙ্গা স্থানীয় মানুষদের সাথে আঁতাত করে ভুয়া নথি জোগাড় করে এবং পরে সরকারি কর্মকর্তাদের সামনে নিজেদের প্রকৃত পরিচয় গোপন করে সেই ভুয়া নথি জমা দেয়’।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান ‘আবেদনপত্রে সেই রোহিঙ্গা মুসলিমরা নিজেদেরকে ভারতীয় বলে দাবি করেন এবং তার ভিত্তিতেই ভারতীয় পাসপোর্ট, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স সবকিছুই জোগাড় করে ফেলে। এমনকি তারা নিজেদের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও খোলে’।
প্রাথমিক তদন্তে অনুমান মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সেই তিন রোহিঙ্গা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর কর্তৃক নিবন্ধিত নয় বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা। আটক তিন রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধি ও ভারতীয় পাসপোর্ট আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য হায়দরাবাদ শহরের বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় শিবিরগুলিতে কমপক্ষে ৩৫০০ থেকে ৪০০০ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।
পাঠকের মতামত