
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন আর্মি রোড এলাকায় পাহাড়ের মাটি কেটে ড্রেন ভরাট করে পানি চলাচল ও বর্জ্য নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে। তিনি হলেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গৌজঘোনা গ্রামের নুরুল আলম, নুর আহমদের ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নুরুল আলমের বাড়ি ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রবেশদ্বার, কক্সবাজার-টেকনাফ প্রধান সড়ক সংলগ্ন আর্মি রোডের পাশে কাঁটাতারের ভেতরে। বনভূমির পাহাড় কেটে সেখানে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। যদিও ওই এলাকা থাইংখালী বন বিটের আওতায় পড়ে, বন বিভাগ সেখানে রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে।
আর্মি রোড সংলগ্ন কাঁটাতারের দক্ষিণ পাশে পাহাড় ঘেঁষে অবস্থিত একটি জলধারা রয়েছে, যেটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্য নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম। নুরুল আলমের বাড়ি ওই জলধারার পাশে, যেখানে ড্রেন ভরাট করে ক্যাম্প থেকে আসা ময়লা ও আবর্জনা স্থানীয় চাষের জমিতে ফেলা হচ্ছে। এর ফলে চলতি মৌসুমে এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষক ফসল চাষ করতে পারছেন না।
স্থানীয় কৃষক ফরিদ আলম অভিযোগ করেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ময়লা আবর্জনা আমাদের জমিতে ফেলা হচ্ছে। যার কারণে এ মৌসুমে চাষাবাদ অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ক্যাম্প বসার পর থেকে পাশ্ববর্তী জমিগুলো চাষের অনুপযোগী হয়ে গেছে, প্রতিবছর লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। অনেকবার ক্যাম্প কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েও এখন পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাইনি।
অন্য এক কৃষক নুরুল আবছার বাপ্পা বলেন, কয়েক বছর ধরে ক্যাম্পের বর্জ্যের কারণে চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে। পাশ্ববর্তী নুরুল আলম পাহাড় কেটে ড্রেন ভরাট করার ফলে বর্জ্য জমিতে এসে জমা হচ্ছে, যা ফসলের জন্য মারাত্মক বাধা।
অভিযুক্ত নুরুল আলম বলেন, পাহাড় কেটে মাটি নেওয়া নিয়ে আমার কিছু জানা নেই। স্থানীয় কিছু মানুষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
থাইংখালী বন বিটের কর্মকর্তা বিকাশ দাশ বলেন, পাহাড় কাটা সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত