প্রকাশিত: ২১/১১/২০২০ ২:৪২ পিএম

হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া::
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে উখিয়াতে পথচারীদের জন্য হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছিল ইউনিসেফ। বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে স্থাপন করা হয়েছিল হাত ধোয়ার বেসিন, ব্যবস্থা করা হয়েছিল সাবান ও পানির। তবে স্বতঃস্ফুর্তভাবে এ কর্মসূচি শুরু হলেও এখন এর বেহাল দশা। এসব বেসিনে প্রথম দিকে সাবান ও পানির ব্যবস্থা থাকলেও তিন মাস ধরে অধিকাংশ জায়গায় তা নেই। নোংরা হয়ে পড়ে আছে বেসিন। কোথাও পানির ব্যবহার ও হাত ধোয়ার প্রয়োজন মনে করছেন না অনেকেই। উখিয়া সদর দারোগা বাজার এলাকার বাসিন্দা ফরিদুল আলম বলেন, প্রয়োজনের সময় পানি পায় না। কখনো থাকে কখনো থাকে না। পর্যাপ্ত পানি ও সাবানের ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো। এতে যেমন করোনা প্রতিরোধে সহায়ক হতো, তেমনি সাধারণ মানুষের উপকারও হতো। দারোগা বাজারের ড্রেনের ওপর হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ব্যবসায়ী কাজল বলেন, অনেক দিন আগে থেকেই এখানে পানি ও সাবান নেই। পথচারীরা হাত ধোয়ার জন্য এসে পানি না পেয়ে ফিরে যান। পানি এই আছে এই নেই। আসলে দেখার কেউ নেই। তাই এমনটি হয়। আবার অনেকেই ড্রেনের ওপর দাঁড়িয়ে হাত ধুতে চান না। কারণ ড্রেনের ময়লার দুর্গন্ধ আসে। স্থানীয় রিকশাচালক কামাল হোসেন বলেন, আমরা রিকশা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। উখিয়ার অলিতে-গলিতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এখন অনেক জায়গা পানির ট্যাঙ্ক দেখতে পাওয়া যায়নি। বেসিন এবং সাবান অনেক আগে থেকেই উধাও। উখিয়া সদর, কোটবাজার, মরিচ্যাবাজার, বালুখালী, থাইংখালী, সোনারপাড়াসহ বেশিরভাগ জায়গাতেই পরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্যসম্মত হাত ধোয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আগের মতো সচেতন হয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সকলকে এগিয়ে আসার প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল। উখিয়ার সামাজিক সংগঠন কেন্দ্রীয় ফেমাস সংসদের সাবেক সভাপতি এন আলম বলেন, পানির সরবরাহ না থাকার কারণে ব্যবহারযোগ্য রাখা কঠিন হবে। তাই সব সময় সাবান ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। দেশে করোনা পরিস্থিতি উন্নত না হওয়ায় ফের বাড়ানো হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি। কিন্তু কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ২০২০ শিক্ষাবর্ষে পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে এ্যাসাইনমেন্ট/নির্ধারিত কাজ ও মূল্যায়ন নির্দেশিত থাকায় উখিয়ার প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা শুরু হয়েছে। হঠাৎ উখিয়া উপজেলা ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ এরই মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার পাশে থাকা অনেকেই আতঙ্কিত রয়েছেন। সচেতন অভিভাবকরা এতদিন তাদের সন্তানদের ঘরে রাখলেও এখন এ্যাসাইনমেন্ট থাকায় বিদ্যালয়ে পাঠাতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই তারাও অতঙ্কবোধ করছেন।

পাঠকের মতামত

সড়ক দুর্ঘটনায় ফের নিহত ১, প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার চুনতি এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খায়। ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রাণ গেল বউ-শাশুড়িসহ একই পরিবারের ৩ জনের

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশের বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের বউ-শাশুড়িসহ তিনজন নিহত ...