প্রকাশিত: ০৬/১০/২০১৮ ৩:৫৯ পিএম

শিল্প-সাহিত্যের বিকাশের পাশাপাশি ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অাসক্তি কমাতে শিক্ষার্থীদেরকে প্রেমপত্র লেখার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আচার্যের ভাষণের সময় তিনি বলেন, ‘প্রেমপত্র লেখার চর্চাটা রাখেন তাহলে সাহিত্যটা বেঁচে থাকবে। কলেজে পড়ার সময় আমরা প্রেম পত্র লিখেছি। অনেক সময় বন্ধুদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে লিখতাম। কত সুন্দর সুন্দর কোটেশন ব্যবহার করে প্রেমপত্র লেখা যায় সেই চেষ্টা করতাম।’

‘‘আর এখনতো কেউ আর প্রেমপত্র লেখে না। প্রেমপত্র লেখার ও দরকার হয় না। এখন তো চিঠি লেখা খুব সহজ। বাংলা-ইংরেজি দিয়ে ইংরেজি-বাংলা দিয়ে লেখা হয় মোবাইলে।’’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে কিছুটা কৌতুকের ছলে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমিও মোবাইল ব্যবহার করি। কিন্তু একটা টিপ দিয়ে খালি রিসিভ করতে পারি। অার নম্বর টিপে টিপে কল করতে পারি। আমি ব্যাকডেটেড। এর বাইরে মোবাইলে আর কিছু পারি না।’

মোবাইল ফোনের নানা ক্ষতিকর দিকের কথা উল্লেখ করে শিশুদের এর থেকে দুরে রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন: ‘আমার নাতি খেতে না চাইলে, কান্না করলেই ওকে মোবাইল ধরিয়ে দেয়া হয়, গেম খেলে। এরপর ও যে কী খায়, কী করে ও নিজেও জানে না। এখনকার বাচ্চারা একটু কান্নাও করতে পারে না। আমরা কী কান্না করিনি? আধঘণ্টা কাঁদলে কী হয়? এতে হার্টের বিকাশ হয়।’

অতিরিক্ত ফেসবুক ব্যবহারের কারণে সামাজিক বন্ধন, বন্ধুত্ব ও হৃদ্যতা তৈরি হচ্ছে না উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন: ‘আগে ট্রেনে উঠে পাশের লোককে বলতাম, ভাই আপনি কই যাবেন? আর এখন মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকি। এর মাধ্যমে সামাজিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে। হৃদ্যতা, বন্ধুত্ব সৃষ্টি হচ্ছে না।’

শুধু ফেসবুকে বন্ধুদের দেখলে হবে, না সামনাসামনিও দেখতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহাররোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে।

পাঠকের মতামত

২ বাংলাদেশিকে গুলি করে মারল বিএসএফ, মরদেহ নিয়ে গেল ভারতীয় পুলিশ

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় খয়খাটপাড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। পরে তাদের ...