প্রকাশিত: ৩০/১২/২০২১ ৯:৫৩ এএম

কক্সবাজারে নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত তিন নম্বর আসামি ইসরাফিল হুদা জয়ের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবুল মনছুর সিদ্দিকী এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিকে আদালতে নিয়ে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে বিচারক তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

পুলিশ জানায়, এই মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিকের সহযোগী ইসরাফিল হুদা জয়। তার বাড়ি কক্সবাজার শহরে।

ট্যুরিস্ট পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মুসলিম বলেন, এ পর্যন্ত প্রধান অভিযুক্ত আশিকসহ মামলার এজাহারভুক্ত তিন জন এবং ওই নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইসরাফিল ছাড়াও আরও চার জনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে হোটেল গেস্ট ইনের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন চার দিন এবং অন্যরা দুই দিন করে রিমান্ডে আছে।

দুই দিন করে রিমান্ডে থাকা আসামিরা হলো- কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ বাহারছড়া এলাকার রেজাউল করিম শাহাবুদ্দিন, চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারার উলুবুনিয়া এলাকার মামুনুর রশীদ ও কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বাহারছড়া এলাকার মেহেদী হাসান।

স্বামী-সন্তানসহ ২২ ডিসেম্বর সকালে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌঁছেন ওই নারী। ওঠেন শহরের হলিডে মোড়ের একটি পাঁচতলা হোটেলে। ওই দিন বিকালে স্বামী-সন্তানকে নিয়ে লাবণী বিচে যান। রাতে হোটেলে ফেরার পথে এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগে। এতে স্বামীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে ওই যুবক। বাধা দিলে তার সঙ্গেও তর্কে জড়ায় যুবক। ওই সময় আরও দুই যুবক ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয়। তারা স্বামী-সন্তানকে ইজিবাইকে তুলে দিয়ে ওই নারীকে আলাদা করে ফেলে।

পরে ওই এলাকার একটি ঝুপড়ি ঘরে নিয়ে তিন জনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর স্বামী-সন্তানকে হত্যার ভয় দেখিয়ে একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে এক যুবক স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তাকে হোটেলের রুমে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে। শেষে রুমের দরজা বাইর থেকে আটকে পালিয়ে যায়। হোটেল থেকে বেরিয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল করেন ওই নারী। পুলিশের কোনও সহায়তা না পেয়ে র‌্যাবকে খবর দেন। তখন হোটেলে আসে র‌্যাব।

এ ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর চার জনের নাম উল্লেখ ও ২-৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগীর স্বামী। এখন পর্যন্ত এ মামলায় ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বাথরুমে ফেলে যাওয়া সেই নবজাতকের ঠাঁই হল নার্স মিনারার কোলে

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাথরুম থেকে উদ্ধার হওয়া ২ দিনের ফুটফুটে নবজাতককে দত্তক নিলেন ...

ঈদগাঁওতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ইউপি নির্বাচনে কারসাজি ও দুর্বৃত্তায়ন সহ্য করা হবেনা

আতিকুর রহমান মানিক, কক্সবাজার কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেছেন, দীর্ঘ আট বছর পর ...