প্রকাশিত: ১২/০৫/২০১৬ ১০:২৯ পিএম , আপডেট: ১২/০৫/২০১৬ ১১:০৪ পিএম

kidশামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি::
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর উপজেলায় দখলীয় পাহাড়ের টিলা নিয়ে শত্রুতার জের ধরে দু,স্কুল ছাত্রীকে (সহোদর বোন) অপহরণের পর গুরুত্বর আঘাত ও পরে এক জন মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

ঘটনার শিকার সদর উপজেলার চাকঢালা এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির মরিয়ম খাতুন (১২) ও অষ্টম শ্রেণির কুলছুমা খাতুন (১৪) এরা দু,জনেই দক্ষিণ ছালামী পাড়ার মোহাম্মদ নবীর কণ্যা ।

জমি সংক্রান্ত নিয়ে হত্যার হুমখি প্রদশন করাতেই নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করে যার ডায়েরী নং ৯৬৭ তাং ২৬/০১/২০১৬ইং সূত্রে দু,জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও মামলার বিবরণে জানা যায়,সদরের ছালামী পাড়ার মোহাম্মদ নবীর সাথে একই গ্রামের মৃত আলী হোসেনের পুত্র ফরিদুল আলমের দীর্ঘদিন ধরে টিলা পাহাড় নিয়ে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে গত ২৯ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ৯টায় ছালামী পাড়া গ্রামের মৃত আলী হোসেনের পুত্র ফরিদুল আলমের নেতৃত্বে  মোঃ নবীর বসতগৃহে প্রবেশ করিয়া স্কুল পড়–য়া দু বোনকে ধর্ষনের উদ্যোশে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের সংবাদটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং খুজাঁ খুজিঁ শুরু করে দেয়। আকস্মিক ভাবে বিকেল ৩টায় খবর আসে ফরিদুল আলমের বাড়ীতে দুটি মেয়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে পড়ে আছে। এ দু,ছাত্রীকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে পুঙ্গু অবস্থায় সাথে সাথে কক্সবাজার সরকারী হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেন।

মৃত্যুর ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার এস আই এহেছান।

আর এদিকে পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, অপহরণ ঘটনার ১২ দিন পর (১০ মে) রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার সদর সরকারী হাসপাতালে শিশু ছাত্রী মরিয়ম খাতুন রক্ত বমি হওয়ার সাথে সাথে মৃত্যু বরণ করেন। অন্য আঘাত প্রাপ্ত ছাত্রী কুলছুমা খাতুন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

সূত্রে আরও জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে  প্রতিনিয়ত  হত্যা করার হুমকি দিয়ে আসলে চলতি বছরের জানুয়ারীর দিকে নিরুপায় হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করা হয় বলেও জানান।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রী মরিয়ম খাতুনের মৃত্যূ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকা নিস্তদ্ধ হয়ে যায়। এক শোকের মাতুমে পরিণত হয়। মৃত মরিয়ম খাতুনের জানাজা সম্পন্ন হয় গত বৃহস্পতিবার (১২ মে ) বিকেল ৩টায় এলাকার জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে।

নাইক্ষ্যংছড়ি  থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, এজাহার অভিযোগের সূত্র ধরে ১১ জন আসামীর মধ্যে দুই জনকে আটক করা সক্ষম হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়নি এখনও। জিজ্ঞাসাবাদের  অনুমতি চাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাকী আসামী আটক করার লক্ষে অভিযান অব্যহত রয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি ছাড়া কোন প্রকার প্রতি হিংসামূলক ব্যক্তিদেরকে ধরপাকড় করা যাবেনা বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত

উখিয়ায় বৌদ্ধ আশ্রমে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ

কক্সবাজারের উখিয়ায় একটি বৌদ্ধ আশ্রমে শিশুকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সেখানকার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর শিশুটির ...

বান্দরবানে কেএনএফের আস্তানায় যৌথ বাহিনীর অভিযান, নিহত ৩

বান্দরবানের রুমা উপজেলার রনিন পাড়ার কাছে ডেবাছড়া এলাকায় কেএনএফের একটি আস্তানায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর ...