প্রকাশিত: ২২/০২/২০২০ ৯:৩৮ পিএম

রাজধানীর গুলশানে একটি অভিজাত হোটেলের প্রেসিডেন্ট স্যুট নিজের নামে কয়েক মাস ধরে বুক করে অবৈধ নারী, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা এবং চাঁদাবাজিসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছিলেন শামিমা নূর পাপিয়া। র‌্যাব বলছে, তিনি শুধু বারের বিল দেন দিনে আড়াই লাখ টাকা।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশত্যাগের সময় তাকে সহ চারজনকে আটক করে র‌্যাব-১।

আটকদের মধ্যে পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮) ছাড়াও আছেন সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)।

র‌্যাবের দাবি, আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ৭টি পাসপোর্ট, নগদ ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়েছে।

সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল জানান, বৈধ আয় অনুযায়ী পাপিয়ার বাছরে মাত্র ১৯ লাখ টাকা। অথচ ওয়েস্টিনে হোটেলে শুধু গত তিন মাসেই বিল পরিশোধ করেছেন প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

পাপিয়া অস্ত্র-মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন তদবির বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত দাবি করে তিনি বলেন, ‘তার (পাপিয়া) নামে ওয়েস্টিন হোটেলের প্রেসিডেন্ট স্যুট সবসময় বুকড থাকতো। হোটেলে শুধু বারের খরচবাবদ দিনে প্রায় আড়াই লাখ টাকা পরিশোধ করতেন পাপিয়া। ৭টি মেয়েকে দিয়ে তিনি অবৈধ ব্যবসা করান। যাদের প্রত্যেককে মাসে ৩০ হাজার করে দেয়া হয়।’

‘‘পপিয়ার তেজগাঁওয়ে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একটি গাড়ির শো রুম এবং নরসিংদীতে একটি গাড়ি সার্ভিসিং সেন্টার রয়েছে। কিন্তু এসব ব্যবসার আড়ালে তিনি অবৈধ অস্ত্র, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তিনি সমাজসেবার নামে নরসিংদী থেকে অসহায় নারীদের আর্থিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদেরকে দিয়ে অনৈতিক কাজে করাতেন।’’

কর্নেল শাফী উল্লাহ আরও বলেন, ‘নরসিংদীতে চাঁদাবাজির জন্য তার একটি ক্যাডার বাহিনী রয়েছে। স্বামীর সহযোগীতায় অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি নরসিংদী ও ঢাকায় একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়িসহ বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন।’

আটক পাপিয়ার স্বামী মতি পেশায় একজন ব্যবসায়ী জানিয়েে র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, দেশে স্ত্রীর ব্যবসায় সহযোগীতার পাশাপাশি থাইল্যান্ডে তার বারের ব্যবসা রয়েছে। স্ত্রীর মাধ্যম প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আনা নারীদের তিনি অনৈতিক কাজে ব্যবহার করেন।

তিনি বলেন, ‘‘অবৈধ অস্ত্র, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য নরসিংদী এলাকায় মতির কু-খ্যাতি রয়েছে। আটক সাব্বির খন্দকার পাপিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী এবং আটক তায়্যিবা মতি সুমনের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।’’

পাঠকের মতামত

এভারকেয়ার হসপিটালের শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তাহেরা নাজরীন এখন কক্সবাজারে

কক্সবাজার জেলায় শিশুদের জন্মগত হৃদরোগ চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার আয়োজন করছে বন্দরনগরীর সর্ববৃহৎ ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৪ আরসা সদস্য গ্রেপ্তার, বিপুল অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড় থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন ...

কক্সবাজারে হচ্ছে ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট’

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার বাংলাদেশের সব নাগরিকের রয়েছে, এটা সংবিধানে গ্যারান্টি ...

ইনানীতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

অবশেষে কক্সবাজারে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং অত্যাধুনিক ফায়ার স্টেশন। অর্থনৈতিক এবং ...