প্রকাশিত: ১৪/১১/২০১৬ ৭:২৭ এএম

সরওয়ার আলম শাহীন, উখিয়া নিউজ ডটকম::
উখিয়া উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত একমাত্র বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান দারোগা বাজারটি অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে।প্রতিনিয়ত বাজার দখল করে স্থায়ী স্থাপনা,বাজারের শেডে গাছবাজার,সড়কের উপর বেচা-কেনা সহ যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা রাখার ফলে বাজারটি সংকুচিত হয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। ক্রেতাদের অভিযোগ কমান্ডো ষ্টাইলে অতিরিক্ত টোল আদায় করা হলেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের কেনাকাটার পরিবেশ না থাকায় বাজারটি ঐতিহ্য হারাচ্ছে।

জানা গেছে, এ উপজেলার সোনারপাড়া বাজার, মরিচ্যা বাজার, ভালুকিয়া পাতাবাড়ী বাজার, কোটবাজার, সদর দারোগা বাজার, কুতুপালং, বালুখালী, থাইংখালী ও পালংখালী বাজার সহ ছোট বড় ১২টি হাট বাজার প্রতি অর্থ বছরে উপজেলা প্রশাসন প্রকাশ্য নিলামে ইজারা দিয়ে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করছে। হাট বাজার ইজারা নীতিমালার আলোকে জানা গেছে, হাট বাজারে টোল আদায়ের তালিকা সম্বলিত সাইনবোর্ড প্রদর্শন, হাট বাজার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করণ সহ ক্রেতা-বিক্রেতাদের কেনাকাটার সুস্থ পরিবেশ সংরক্ষণ করার দায়-দায়িত্ব ইজারাদারের। সম্প্রতি এ উপজেলার সর্ব বৃহত্তম বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সদর দারোগা বাজার ঘুরে দেখা যায়, অর্ধকোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দে বাজারটি ইজারা দেওয়া হলেও বাজারের অধিকাংশ বেদখল হয়ে গেছে। উপরন্ত বাজারের আশেপাশে একাধিক পাকা বাড়ী  নির্মাণ করায় বাজারটি সংকুচিত হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী বাজার সড়কের উপর কাঁচা মাছ সহ তরি-তরকারি বিক্রি করতে দেখা গেছে। মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদেরকে রাস্তর উপর বসে কাচা মাছ বিক্রির বিপরীতে নির্দিষ্ট পরিমাণ হাছিলের অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করতে হয়।এছাড়াও বনভিাগের বাগান থেকে গাছ কেটে এনে স,মিলে সাইজ করে বাজারের শেড দখল করে প্রকাশ্যে বিত্রিু করা হলেও দেখার কেউ নেই।

স্থানীয় কিছু খন্ড খন্ড উপ-বাজার ইজারা নামধারী একটি চক্র এ বাজার হতে অসাধু উপায়ে টাকা আয় করে বাজারটির পরিবেশ নষ্ট করছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দু সালাম জানান, বাজার থেকে নিয়মিত টোল আদায় করা হলেও বাজার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কোন ব্যবস্থা নাই। একাধিক ক্রেতার অভিযোগ, কাচা মাছ বেচাকেনার জন্য নির্ধারিত শেড থাকা স্বত্বেও প্রকাশ্য চলাচলের রাস্তার উপর মাছ বেচাকেনা করায় বাজারটির সামগ্রিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।তাছাড়া বাজারের জন্য নির্ধারিত কযেকটি শেড দখল করে প্রকাশ্যে বিত্রিু করা হচ্ছে সাইজ করা কাঠ। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বাজার ইজারাদার কামাল উদ্দিন বলেন, সড়কের উপর মাছ বেচাকেনা করার অজুহাতে কোন প্রকার উপ-ইজারাদার নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তিনি বাজার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ও দখল প্রবনতা রোদ করা তার দ্বায়িত্ব নয় বলে ইজারাদার জানা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাঈন উদ্দিন জানান, হাট-বাজার দখল করে যারা সড়কের উপর বেচা-কেনা করছে,শেড দখল করে কাঠের ব্যবসা করে যাচ্ছে তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতের আওতায় জরিমানা সহ সাজা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...