
মামুনুর রশীদ:থাইংখালী::
প্রায় ত্রিশ বছর আগের পুরানো ইটের নির্মিত রাস্তা গত বছর ২০১৬-১৭ বাজেটে কিছুটা সংস্কার করা হয় থাইংখালী ফরেস্ট অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়া এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি।সংস্কারের সময় এলাকার তরুণ সমাজ এই প্রজেক্টের বিরুধীতা করলেও অত্যন্ত নিম্নমানেরর এই রাস্তার কাজ তড়িঘড়ি করে শেষ করা হয়।এই রাস্তার একটু অদূরেই বয়ে গেছে থাইংখালী খাল।বেশ কয়েকবছর ধরে বর্ষাকাল আসলেই খালের পানি ওঠে পুরো এলাকা কোমর পানিতে তলিয়ে যায়।এলাকার ফসলি জমি ডুবে গিয়ে গরীব কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি যেন প্রতি বছরের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েকবছরে এলাকার সব মাঠির ঘর ভেঙ্গে গেলে গরীব মানুষ বাঁশের বেড়া দিয়ে কোনরকম জীবনযাপন করছে।খালের পাড় বাঁধার জন্য বাজেট হলেও জনপ্রতিনিধিদের ভাষ্যমতে তা খুবই অল্প হওয়ায় মজবুত কোন বাঁধ নির্মাণ সম্ভব হচ্ছেনা।এই বছর কিছুদিন আগে ঘূর্ণিঝড় “মোরা” বিধ্বস্ত করে মধ্যমপাড়া,পন্ডিতপাড়া ও আশার পাড়ার ভিটেবাড়ি।’মোরার’ কয়েকদিন পরেই ভারি বৃষ্টিতে পাহাড়ি পানি এসে গভীর রাতে ডুবিয়ে দেয় পুরো এলাকা।নতুন নির্মিত রাস্তা ভেঙ্গে যায় সবদিকে।এলাকার জনগণ এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় হাঁটাচলা করলেও এই রাস্তা সিএনজি,রিকশা বা ভেন কোন কিছুই চলার উপযুক্ত নই।এলাকাবাসির অনেকদিনের পুরানো দাবী খালের পাড় নির্মাণ এখম আরো প্রকট হয়ে ওঠেছে।বিশেষকরে স্থানীয় ফজল গরিবীর বাড়ির সামনে আর ছকির আহমদের বাড়ির সামনে রাস্তাটি মারাত্মক ঝূঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে।শিশু ও বৃদ্ধ লোক যে কোন সময় খালে পড়ে প্রাননাশের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। ইতিমধ্যে রাস্তাটি স্থানীয় চেয়ারম্যান এম গফুরুদ্দীন চৌধুরী ও উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার একটি প্রতিনিধিদল পরিদর্শন করেছেন।স্থানীয় জনগণেরর দাবী,এখন আবার ইট,বালি ও গাছ দিয়ে অস্থায়ী পদ্ধতিতে খালপাড় ও রাস্তাটি নির্মাণ না করে ভয়ঙ্কর এই সর্বনাশী খালের পাড়টি স্থায়ীভাবে নির্মাণেরর যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হোক।থাইংখালী মধ্যমপাড়ার বিপর্যস্ত রাস্তাটি নির্মাণ করে জনগণে দুর্ভোগ লাঘব করা হোক। প্রতি বছরের বন্যার হাত থেকে এলাকার গরীব জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করার জন্য উখিয়া উপজেলার মাননীয় ইউএনও সাহেব ও মাননীয় এমপি মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
পাঠকের মতামত