উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫/০২/২০২৩ ৮:৩৮ এএম

অগ্নিকান্ডে ভষ্মীভূত শূন্যরেখা থেকে পালিয়ে তুমব্রু গ্রামে আশ্রয় নেয়া ৫৯৯ জন রোহিঙ্গার হদিস পাচ্ছে না শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যবাসন কার্যালয়। মঙ্গলবার সপ্তম দফায় ৪০ পরিবারের ১৯০ জন রোহিঙ্গা ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর করার পর এ বিষয়টি বেরিয়ে আসে। তারা বলেন, গত জানুয়ারীর শেষ সপ্তাহে তুমব্রু গ্রামের আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার নিবন্ধন করা হয় ৫ শত ৫৮ পরিবারের ২ হাজার ৯৭০ জনের। পরে আরো ১৬ রোহিঙ্গা যোগ হয়ে সর্বশেষ দাড়ায় ২ হাজার ৯৮৬ জনে।

তন্মধ্যে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) পর্যন্ত তুমব্রু গ্রাম থেকে ৭ কিস্তিতে কুতুপালং সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে সেই নিবন্ধিত ২ হাজার ৩৮৭ জন রোহিঙ্গা নেয়ার পর বাকী থাকার কথা ৫৯৯ জন রোহিঙ্গার। অথচ তাদের খোঁজ নেই সেখানে।
বিষয়টি স্বীকার করেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, নিবন্ধিত ৫৯৯ জন রোহিঙ্গার হদিস মিলছে না। তারা পালিয়ে গেছে অন্যত্র। এ কারণে তাদেরকে ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর করাও সম্ভব হয় নি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে অনিবন্ধিত ৫৫ পরিবারের প্রায় ৩ শতাধিক রোহিঙ্গা তুমব্রু গ্রামের আশ্রয় শিবিরে অবস্থান করছে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। যাদেরকে শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যবাসন কার্যালয় ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছে না। এ কারণে তিনি দুঃচিন্তায়।

এ বিষয়ে শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে সব কাজ করে যাচ্ছেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ৭ কিস্তিতে নিবন্ধিত ২ হাজার ৩ শত ৮৭ জন রোহিঙ্গা কে কুতুপালং সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে আনেন তারা। নিবন্ধিত অবশিষ্ট ৯৭ পরিবারের আরো ৫ শত ৯৯ জনের খোঁজ পাননি তারা। এ কারণে তাদেরকে ট্রানজিট ক্যাম্পে নেয়া সম্ভব হয় নি।
অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এছাড়া তুমব্রু গ্রামে এখনও (১৪ ফেব্রুয়ারী, মঙ্গলবার পর্যন্ত) অবস্থান করছেন অনিবন্ধিত ৫৫ পরিবার। যাদের সঠিক সদস্য সংখ্যা তিনি বলতে পারছেন না। তাদেরকে তারা ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছেন না। কারণ তারা অনিবন্ধিত। যাদের বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিজিবি কতৃপক্ষকে দ্রুত অবহিত করবেন তিনি।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা এ বিষয়ে বলেন, ইতিমধ্যেই তিনি জানতে পেরেছেন অনিবন্ধিত ৫৫ পরিবার মিয়ানমারের নাগরিক তুমব্রুতে অবস্থান করছে। তিনি তা অবহিত হওয়ার পরপর বান্দরবানস্থ কতৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশা করছেন। সৌজন্যে : দৈনিক কক্সবাজার

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বাথরুমে ফেলে যাওয়া সেই নবজাতকের ঠাঁই হল নার্স মিনারার কোলে

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাথরুম থেকে উদ্ধার হওয়া ২ দিনের ফুটফুটে নবজাতককে দত্তক নিলেন ...

ঈদগাঁওতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ইউপি নির্বাচনে কারসাজি ও দুর্বৃত্তায়ন সহ্য করা হবেনা

আতিকুর রহমান মানিক, কক্সবাজার কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেছেন, দীর্ঘ আট বছর পর ...