প্রকাশিত: ২৯/০৩/২০১৮ ৭:৪২ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:৫২ এএম

নিউজ ডেস্ক::
টেকনাফ উপজেলায় এক ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে ১৭ লাখ টাকা আদায়ের ঘটনায় ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগ পত্র) দাখিল করা হচ্ছে শীঘ্রই। মামলাটি তদন্তকারি সংস্থা পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর দাবি তদন্ত কার্যক্রম শেষ।

পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, মামলার সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে এবং তদন্ত কার্যক্রমও শেষ। আদালতে চার্জশিট দ্রুত সময়ের মধ্যে দাখিল হচ্ছে।

অভিযুক্ত ডিবি পুলিশের সাত সদস্যের অপরাধ সংশ্লিষ্ট পাওয়া গেছে কিনা এমন এক প্রশ্নের উত্তরে পিবিআই এর অতিরিক্তি পুলিশ সুপার জানান, গুরুত্ব সহকারে মামলাটি তদন্ত করা হয়েছে। আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর বিষয়টি পরিষ্কার হবে।


সূত্র জানিয়েছে, গত ২৫ অক্টোবর কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের ১৭ লাখ টাকা সহ সেনা বাহিনীর তল্লাশী চৌকিতে আটক হন কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাত সদস্য। ঘটনার আগের দিন দুপুরে টেকনাফের মধ্যম জালিয়া পাড়ার ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে কক্সবাজার শহর থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে টাকা দাবি করে। ঘটনার পর নানা প্রক্রিয়ায় আগে টাকা দিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। টাকা নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে সাত জন পুলিশ বুধবার ভোরে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় মেরিন ড্রাইভ সড়কের শাপলাপুর এলাকায় সেনাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে মাইক্রোবাসটি আটকে রেখে মুক্তিপণের ওই ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় সাত জনকে।


এব্যাপারে আবদুল গফুর বাদি হয়ে টেকনাফ থানা একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আটক ৭ জন বর্তমানে জেলা হাজতে রয়েছে। এরা হলেন, ডিবি পুলিশের এসআই মনিরুজ্জামান, এসআই আবুল কালাম আজাদ, এস আই ফিরোজ, এএসআই মোস্তফা, এএসআই আলাউদ্দিন, সিপাহী আলামিন ও সিপাহী মোস্তফা আজম।
ঘটনার ব্যাপারে মামলার বাদি আবদুল গফুর জানান, তিনি মনে করেন তদন্তে সত্য ঘটনা উঠে এসেছে। তিনি ন্যায় বিচার পাবেন।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...