উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১/০৬/২০২৫ ৮:৩৭ এএম , আপডেট: ১১/০৬/২০২৫ ৮:৫৬ এএম
টেকনাফে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত একজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

কক্সবাজারের টেকনাফে বিএনপির বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী এবং জেলার অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ভাষ্য, সম্প্রতি একটি অনলাইন মাধ্যমে জেলা সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর কয়েক দিন পর আরেকটি অনলাইন মাধ্যমে আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে দখল ও সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিভাজন রয়েছে। এর মধ্যেই মঙ্গলবার একে অপরের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ তুলে উভয় পক্ষ পৃথক বিক্ষোভ মিছিল করে। এর মধ্যে বিকেল চারটার দিকে সাবরাং থেকে শাহজাহান চৌধুরীর পক্ষের একটি মিছিল এলে পৌরসভা শাপলা চত্বরে আবদুল্লাহর পক্ষের মিছিলের মুখোমুখি হলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

আহত সবাই শাহজাহান চৌধুরীর সমর্থক। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন জেলা বিএনপির সদস্য রাশেদুল করিম, টেকনাফ উপজেলা আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, সাবরাং ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হুদা, বিএনপি নেতা এজাহার মিয়া, সাবরাং ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব সাব্বির আহমদ, সাবরাং ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইউপি সদস্য কবির আহমদ, সাবরাং ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল গফুর এবং টেকনাফ সদর বিএনপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি ফরিদ আলমসহ ১০ জন।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চারজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের শরীরে মারাত্মক আঘাত রয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাসান সিদ্দিকী বলেন, ‘হামলাকারীরা বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত। পৌরসভার শাপলা চত্বর এলাকায় আবদুল্লাহর নেতৃত্বে শতাধিক ব্যক্তি হামলা চালায়। গুরুতর আহত ছয়জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমাদের মিছিল ছিল পূর্বনির্ধারিত। জমায়েতের স্থানে আবদুল্লাহর পক্ষ থেকে জমায়েতের ঘোষণা দেওয়া হয়। সংঘাত এড়াতে আমরা স্থান পরিবর্তন করলেও সাবরাং থেকে আসার মিছিলে হামলা চালানো হয়।’

মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিমেল রায় বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে আমরা জানি না। তবে উভয় পক্ষের বিক্ষোভ মিছিল ছিল। কেউ পুলিশকে এ বিষয়ে জানায়নি। এরপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ সুত্র:প্রথম আলো

পাঠকের মতামত

ঈদের ছুটিতে মৈত্রী সড়কে রোহিঙ্গাদের ভিড়, উদ্বেগ স্থানীয়দের

ঈদুল আজহার ছুটিতে দর্শনার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের মৈত্রী ...