
শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি::
দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় নাইক্ষংছড়ি- ঘুমধুম সড়কটি যেন এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই সড়কটিতে চলছে ছোট বড় বিভিন্ন যানবাহন। উপজেলার সদর থেকে ঘুমধুম যাতায়াতে বিকল্প সড়ক হিসাবে চলাচল করে আসছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মোটর বাইক, সিএন্ডজি,ছোট ট্রাকসহ বিভিন্ন চলাচল করলেও প্রতিনিয়ত বর্ষায় মৌসুম এলে খুড়ে খুড়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে সড়কটি। দূর্ঘটনা ঠেকাতে সড়কটি মেরামত করার দূরের কথা যেন চোখেই দেখেন না সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষরা। ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচলাকারী যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
দীর্ঘ সড়কটি সংস্কার না করায় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ভেঙ্গে গেছে। প্রতি বর্ষায় মৌসুম এলে পাহাড়ি পানির ঢলে ধ্বসে যাচ্ছে সড়কটি। ফলে সেই সড়কের চলাচলকারীদের প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় শিকার হতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির কোন সংস্কার কাজ হয়নি। সড়কের এমন বেহাল দশায় ফলে এখন মরণ ফাঁদে রূপ নিয়েছে সড়কটি। তাছাড়া ভাঙা সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ অংশের ওপর দিয়ে যানবাহন পারাপারের সময় দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকেন ওই সড়কের চলাচলকারীরা।
৪ জুলাই (সোমবার) সকালে সরজমিন গিয়ে জানা গেছে, নাইক্ষংছড়ি- সোনাইছড়ি ঘুমধুম দীর্ঘ দিন আগে সড়কটি বাস্তবায়ন করেছিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি)। বাস্তবায়ন পর নেয়া হয়নি কোন পরিচর্যা কিংবা সংস্কারের মেরামত। গত এক সপ্তাহ টানা ভারী বর্ষাতে ধ্বসে যায় সড়কটি। এরপর থেকে কোন মতে যানচলাচলের জন্য অস্থায়ীভাবে সংস্কার করা হলেও প্রতি বর্ষা মৌসুম এলে খুড়ে খুড়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে সেই সড়কটি।
স্থানীয় কয়েকজন পথচারীরা জানান, নাইক্ষংছড়ি-ঘুমধুম সড়কটি দীর্ঘ দিন সংস্কার না করার কারনে সড়কটি ভেঙ্গে পড়েছে। এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে পড়েছে । একাধিক বার সংশ্লিষ্টদের জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি এলজিইডি কতৃপক্ষ। ফলে এই সড়কটি ধ্বসে গেলে যেকোন সময় বন্ধ হয়ে আবে নাইক্ষংছড়ি-ঘুমধুম সড়কের যাতায়াত।
ট্রাক চালক সুলতান আহম্মদ বলেন, আমরা প্রতিদিন বিপদের মধ্য দিয়েও গাড়ী চালাচল করে থাকি। কখন যে দূর্ঘটনা হয় সে ব্যাপারে আমরা আতঙ্কে নিয়ে চলাচল করছি। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষরা বিষয়টি যদি দ্রুত কাজ করে তাহলে ভালো হবে । আর কাজ করা না হলে এই বর্ষাতে পুরো রাস্তা ভেঙ্গে একেবারে দু শত ফিট নিচে চলে যাবে এবং গাড়ী চলাচল ও সড়ক বন্ধ হয়ে যাবে।
নাইক্ষংছড়ি (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, আমি খবর পেয়ে সড়কটি পরির্দশন করেছি এবং জেলা অফিসকে বিষয়টি জানিয়েছি এবং দ্রুত মেরামতের জন্য বরাদ্ধ চেয়েছি। বরাদ্ধ পেলে দ্রুত মেরামত কাজটি করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
পাঠকের মতামত