প্রকাশিত: ৩০/১২/২০১৬ ৯:৩২ পিএম

পলাশ বড়ুয়া::
নানা প্রতিকুলতার মধ্যে এবারও রুমখাঁ পালং উচ্চ বিদ্যালয় জেএসসিতে এ প্লাস সহ শতভাগ পাশের গৌরব অর্জন করেছে। উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ও রত্নাপালং ইউনিয়নের সীমানায় ১৯৯২সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে অদ্যবধি পর্যন্ত একমাত্র স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ননএমপিও ভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে রুমখাঁপালং উচ্চ বিদ্যালয়টি ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত জেএসসি পরীক্ষায় ৮০জন অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে ১জন (এ+), ৫৫জন (এ), ১৭জন (এ-), ৭জন (বি) প্রায় শতভাগ পাশ করে। বিগত ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালেও বৃত্তি সহ শতভাগ পাশের গৌরব অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে ৬ষ্ট শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত (ব্যবসায় ও মানবিক শাখায়) ভর্তি কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন।

ধারাবাহিক এ সাফল্যের ইতিবৃত্তে জানা যায়, বিদ্যালয়টি ১৯৯২সালে বর্তমান পরিচালনা কমিটির সভাপতি, পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহকারী শিক্ষক পুলিন বিহারী বড়ুয়া’র একক প্রচেষ্টায় বিদেশী দাতা সংস্থা ওয়াল্ড ভিশন ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠা করলেও ২০০৭ইং পর্যন্ত অনুমোদিত পরিচালনা কমিটি না থাকায় বিভিন্ন দিক দিয়ে পিছিয়ে ছিল এ বিদ্যালয়টি। পরবর্তীতে বর্তমান প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন যোগদানের পর তৎকালীন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমদ শামীম আল রাজিকে সভাপতি করে প্রথম অনুমোদিত কমিটি গঠন এবং তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি চালু হয়।

২০১০সালে একাডেমিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত উপজেলার একমাত্র নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও নানা সমস্যায় জর্জরিত বিদ্যালয়টি। পর্যাপ্ত একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানে ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি টিউবওয়েল এবং শিক্ষক-কর্মচারী সহ ৫শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহার উপযোগী কোন টয়লেট না থাকার প্রতিনিয়ত সমস্যার অন্ত নেই বলে আপেক্ষ করে বলেন  প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন।

তিনি আরও বলেন প্রত্যন্ত অঞ্চল ও হতদরিদ্র অধিকাংশ অভিভাবক শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের নির্ধারিত মাসিক বেতন আদায়ে ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি ভর্তি ফি, পরীক্ষা ফি এমন কি ফরম পুরণের ফি: জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয়। সর্বোপরি এলাকার গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সুযোগ দান সহ প্রতিষ্ঠানটির সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে বিনা বেতনে ৯ বৎসর যাবত স্বেচ্ছাসেবী মানসিকতায় ৪জন নিয়োগ প্রাপ্ত ও ৩ জন চুক্তিভিত্তিক সহ মোট ৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা নানা প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি শিক্ষক পুলিশ বিহারী বড়ুয়া’র নিকট জানতে চাইলে এ প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করে অনেক শিক্ষার্থী ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, এডভোকেট, শিক্ষক ও সাংবাদিক সহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিযুক্ত হয়েছে। তাই বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ বিনিয়োগ খাত শিক্ষা ব্যবস্থার আওতায় প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণে পাশাপাশি শিক্ষানুরাগী ও সচেতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

নানা প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে রুমখাঁ পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের এ সফলতার জন্য প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন সহ অন্যান্য শিক্ষকমন্ডলী ও সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সাথে ভবিষ্যতে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে আরো ভাল ফলাফল অর্জন করতে পারে সে জন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের সহায়তা কামনা করেন।

পাঠকের মতামত

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হলেন কক্সবাজারের সন্তান রেজাউল

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের নতুন চেয়রাম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রেজাউল করিম। মঙ্গলবার (১৪ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ...

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক

চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষায় পজিটিভ ...

৪০ ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীকে বিনা বেতনে পড়াবে আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৪০ জন করে ফিলিস্তিনি মেধাবী নারী শিক্ষার্থীকে বিনা বেতনে পড়ার ...

তাপপ্রবাহ: প্রাথমিকে ক্লাসের সময় কমলো, বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক

দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে শ্রেণি কার্যক্রমের সময় এগিয়ে এনে রোববার থেকে খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। শ্রেণি ...