প্রকাশিত: ০৮/১২/২০১৬ ৯:৩৪ পিএম

শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি:

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে মিথ্যা সাঁজানো মামলায় আদালত থেকে জামিন লাভ করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক প্রিয় চট্টগ্রাম, দৈনিক হিমছড়ির তরুণ সাংবাদিক মুফিজুর রহমান সহ ছয় নিরহ ব্যক্তি। মুহাম্মদ এমদাত উল্লাহ নামের এক ভাসমান ব্যাক্তির দায়ের করা মিথ্যা মামলায় ৭ ডিসেম্বর (বুধবার) বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত থেকে তিনিসহ সাত নিরহ ব্যাক্তি জামিন লাভ করেন। জামিন প্রাপ্তরা হলেন মধ্যম বাইশারী গ্রামের মোঃ আশরাফুজ্জামান, মোঃ ইউছুফ, মোঃ ইউনুছ, সংবাদকর্মী মুফিজুর রহমান, মহিউদ্দিন ও জহির উদ্দিন।

জানা গেছে, গত ২৭ আগষ্ট রাতে জনৈক মুহাম্মদ এমদাত উল্লাহ জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার ভাই বোনদের মারধর করে করেছে মর্মে ৫ ডিসেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এতে আসামী করা হয় স্কুল পড়–য়া শিশু ছাত্র, সংবাদকর্মীসহ পরস্পর সাত আত্মীয়স্বজনকে। উক্ত মিথ্যা সাজানো মামলায় এলাকার মানুষ হতবাক হয়ে পড়েন। পাশাপাশি মামলা প্রত্যাহার সহ সুষ্ঠ তদন্তের দাবীও জানান এলাকার সুশীল সমাজ সহ স্থানীয়রা।

এই প্রতিবেদক সরজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে ঘটনারস্থলের আশপাশের গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, পশ্চিম নারিচবুনিয়ায় ২৭ আগষ্ট থেকে অদ্যবদি পর্যন্ত কোন ঘটনা ঘটেনি। এলাকাবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী বাদীর পিতার কোন জমি উক্ত ঘটনাস্থলে আগেও ছিল না এখনো নেই। তার বাবার পিত্রালয় রয়েছে মধ্যম বাইশারীতে। তাছাড়া উক্ত মামলার বাদী এমদাদ উল্লাহ বাইশারীতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে না বলে স্থানীয়রা জানান।

সরজমিনে গিয়ে আরো জানা যায়, মামলায় হয়রানীর শিকার আশরাফুজ্জামানের পৈত্রিক সম্পত্তি দখলে নিতে এই মামলা এবং রাতের আঁধারে নিজেরা জমি দখল করে উল্টো সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। উক্ত ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চারও লক্ষ্য করা গেছে। এ ঘটনায় আশরাফুজ্জামান বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালত বান্দরবানে ০৮আগষ্ট ১৪৪ ধারা চেয়ে মামলা দায়ের করেন। আদালত উক্ত জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করার পর এমদাত উল্লাহ সহ তার দলবল আদালতের আদেশ অমান্য করে উক্ত জমিতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে আইন ভঙ্গ করেন। পরে নিজেদের বাঁচাতে সাংবাদিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজানো মামলা দায়ের করেছেন। এলাকাবাসী উক্ত মিথ্যা সাঁজানো মামলার সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক এমদাত উল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বছরে ২ কোটি বাঁশের চাহিদায় চট্টগ্রাম–কক্সবাজারে দ্রুত উজাড় হচ্ছে বাঁশবাগান

  একসময় দেশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা বাঁশবাগান এখন দ্রুত কমে আসছে। এ অবস্থায় ...

উখিয়ায় পরপর তিন ছেলেকে হত্যা, মায়ের কান্না থামানোর কেউ নেই

আব্দুল কুদ্দুস,কক্সবাজার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সমুদ্র উপকূলীয় জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি গ্রাম মনখালী। ...