গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি আইনগতভাবে অবৈধ। কিন্তু নৈতিকভাবে যেহেতু সম্মেলনের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাইনি, তাই বর্তমান কমিটিই বহাল আছে বলে এমনটি জানিয়েছেন সংগঠনটির সম্মেলন প্রত্যাশী নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ক্যাফেটেরিয়ায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা। এর আগে গঠনতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতা মেনে সম্মেলনের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করে ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সায়েম খান বলেন, দলের (আওয়ামী লীগ) হাইকমান্ড থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা আগামীকাল আমাদের ডেকেছেন। সেখানে আমাদের দাবির বিষয়ে তারা শুনবেন এবং আমাদের কথা নেত্রীকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) জানাবেন বলে জানিয়েছেন। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা সংবাদ সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেছি।
শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যারা জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ছাত্রলীগকে দেখভাল করেন তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আমাদেরকে ডেকেছেন। তিনি আমাদের কথা শুনবেন।
সহ-সভাপতি আরেফিন সিদ্দিক সুজন বলেন, জননেতা ওবায়দুল কাদের বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের নিয়মিত সম্মেলনের উপর গুরুত্বারোপ করে কথা বলেছেন। আমরা তার থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছি। তিনি একসময় ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সংগঠন পরিচালনার নানা দিক সম্পর্কে তিনি অবগত। আমরা আশা করছি তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে সম্মেলনের বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়োপযোগী নির্দেশনা দেবেন।
কারও হুমকির মুখে সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আরেক সহসভাপতি মেহেদী হাসান রনি বলেন, ‘আমরা কারও হুমকি-ধমকিতে ভয় পাই না। কারও রক্তচক্ষুকে পরোয়া করি না। সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করার একমাত্র কারণ হলো আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের প্রতি সম্মান প্রদর্শন।
বিডি২৪লাইভ
পাঠকের মতামত