প্রকাশিত: ১৮/১১/২০২১ ৮:১৭ এএম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি
সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুসারে যেভাবে বাস ভাড়া বাড়ানোর কথা ছিল সেটি কেউ মানছে না। পরিবহন মালিকরা ইচ্ছেমতো ভাড়া বাড়িয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ভাড়া বাড়ানো হয়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের পরিবহনগুলোয়। এই রুটের পরিবহন মালিকরা জনপ্রতি ভাড়া বাড়িয়েছেন ১০০ টাকা।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ক্লোজডোর বাসের ভাড়া ছিল ২৫০ টাকা। গতকাল থেকে নেওয়া হচ্ছে ৩৫০ টাকা। সরকার ২৭ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর কথা বললেও এক্ষেত্রে বাড়ানো হয়েছে ৪০ শতাংশ।

গতকাল সোমবার সকালে নগরীর চান্দগাঁও নতুন থানা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কক্সবাজারগামী মারসা, এস আলমসহ অধিকাংশ যাত্রীবাহী পরিবহন যাত্রীপ্রতি ১০০ টাকা বাড়তি নিচ্ছে। আগে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের জনপ্রতি ভাড়া ছিল ২৫০ টাকা। এখন সেটি নিচ্ছে ৩৫০ টাকা।

অথচ গত রবিবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সহাকারী সচিব মো. জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার রুটে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের ভাড়া কিলোমিটারপ্রতি ১ টাকা ৪২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১ টাকা ৮০ পয়সা করা হয়। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। ১ টাকা ৮০ পয়সা হিসাবে ভাড়া আসার কথা ২৭০ টাকা; কিন্তু পরিবহন মালিকরা ভাড়া নিচ্ছেন আরও ৮০ টাকা বেশি।

চান্দগাঁও নতুন থানা এলাকায় এস আলম কাউন্টারের সামনে কথা হয় মইন উদ্দিন বিন ইব্রাহিম নামে এক যাত্রীর সাথে। তিনি কক্সবাজার যাবেন; কিন্তু এস আলম কাউন্টার থেকে ১০০ টাকা বাড়তি দিয়ে টিকিট কেটেছেন তিনি। ক্ষোভ প্রকাশ করে আমাদের সময়কে বলেন, দেশটা আসলে কে চালাচ্ছে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। না হলে এখান থেকে কক্সবাজার ভাড়া আসে ২৭০ টাকা, তারা নিচ্ছে ৩৫০ টাকা। নগদে ৮০ টাকা নাই হয়ে যাচ্ছে। এসব কেউ দেখে না।

কক্সবাজার রুটে সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্ভিস হচ্ছে মারসা পরিবহন লিমিটেড। তাদের নগরীর সিনেমা প্যালেসের কাউন্টারে ফোন করা হলে একজন বলেন, সরকারি হিসাবে ভাড়া আসে ৩৯২ টাকা। আমরা নিচ্ছি ৩৫০ টাকা। কোন হিসাবে ৩৯২ টাকা ভাড়া আসে সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।

এদিকে গতকাল দুপুরে নগরীর আগ্রাবাদ, দেওয়ানহাট, লালখানবাজার, জিইসি, ২ নম্বর গেট ও মুরাদপুর এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, সরকার ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও নগরের সড়কগুলোতে ভাড়া নিয়ে চলছে নৈরাজ্য। গণপরিবহনে চালক-হেল্পাররা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তোয়াক্কা না করে নিজেদের খেয়াল-খুশিমতো বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গ্যাসচালিত বাসগুলোও ডিজেলচালিত বাসের সাথে পাল্লা দিয়ে সমানতালে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। এ নিয়ে নগরবাসী ও বাস সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বাগ্বিত-া, এমনকি হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে।

নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় কথা হয় চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের ছাত্র মাহিদুল হকের সাথে। তিনি বলেন, সবাই ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। আগে টেম্পোতে চকবাজার থেকে আগ্রাবাদ আসতাম ১২ টাকা দিয়ে। এখন ১৪ টাকা। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মো. আলম বলেন, আগে দেওয়ানহাট থেকে জিইসি ৫ টাকা ভাড়া নিত। নতুন নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী আমার দেওয়া উচিত ৭ টাকা। অথচ তারা আদায় করছে ১০ টাকা।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন বাস মালিক সমিতির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, আজকে পুরোদমে নগরী ও আন্তঃজেলার বিভিন্ন রুটে গাড়ি চলছে। আমরা রাস্তায় ছিলাম। সরকার নির্ধারিত ভাড়াই নিচ্ছেন কন্ডাকটররা। তিনি বলেন, আমরা ডিজেল ও গ্যাসচালিত মালিকদের সাথে বৈঠকে বসব। সেখানে তাদের নির্দেশনা দেওয়া হবে। তখন আর তাদের বাড়তি ভাড়া আদায় করার সুযোগ থাকবে না।

পাঠকের মতামত

আজ পহেলা বৈশাখ

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-বাংলা নববর্ষ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১ ...

বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালিত এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত রুমা,রোয়াংছড়ি ও থানচি এলাকায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। ...

বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পটিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই আরোহী নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী এলাকার মোঃ ...