
শিশুদের খেলাভিত্তিক শেখা, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ও মনোসামাজিক বিকাশ নিশ্চিতে ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠান। বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সরকারি নীতিনির্ধারক, উন্নয়ন সহযোগী, গবেষক, শিক্ষাবিদ, দাতা সংস্থা, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
‘অ্যাডভোকেসি ফর প্লে, আর্লি লার্নিং অ্যান্ড সোশিও-ইমোশনাল ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে শিশুদের প্রারম্ভিক শিখন প্রস্তুতিতে খেলাভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতি, সামাজিক-মানসিক সহায়তা এবং শিক্ষার মানোন্নয়ন সংক্রান্ত গবেষণা, অভিজ্ঞতা ও নীতিগত সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর শামসুজ্জামান বলেন, “আগামী দিনে শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।”
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে ব্র্যাকের ব্র্যাকের শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও মাইগ্রেশন কর্মসূচির পরিচালক সাফি রহমান খান বলেন, ভবিষ্যতে এই প্লে-ল্যাবের গবেষণালদ্ধ ফলাফল অনুযায়ী যেন খেলাভিত্তিক শিখন কার্যক্রমের প্রসার ঘটে সে বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া জরুরি।
অনুষ্ঠানে খেলার জগৎ (প্লে ল্যাব) নিয়ে একটি সার্বিক উপস্থাপনা দেন ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির কর্মসূচি প্রধান মো. মোয়াজ্জেম হোসেন।
এ সময় খেলার জগৎ-এর কার্যকারিতা নিয়ে পরিচালিত গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিক্ষক খেলাভিত্তিক শিখন পদ্ধতির বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন, তারা বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলছেন। নিজেদের অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সহকর্মী শিক্ষকদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন। এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা অন্য শিক্ষকদেরও খেলাভিত্তিক শিখন পদ্ধতি কার্যকরভাবে প্রয়োগে সক্ষম করে তুলছেন।
ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক কেএএম মোর্শেদের সঞ্চালনায় আলোচনা পর্বে খেলাভিত্তিক শিখনকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সরকারি-বেসরকারি পক্ষকে একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। আলোচনা পর্বের সঞ্চালক ছিলেন। এ সময় কেএএম মোর্শেদ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর চাহিদা অনুযায়ী প্রকল্পের নকশা করার জন্য নীতিনির্ধারকদের অনুরোধ করেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বিত পরিকল্পনা ও শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির কৌশল, গবেষণাভিত্তিক প্রমাণ কাজে লাগিয়ে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন, শিক্ষাব্যবস্থার মনিটরিং ও পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম মূল্যায়নের জন্য তথ্য-উপাত্ত ব্যবহারের পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।


পাঠকের মতামত