ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৮/০১/২০২৩ ৮:০৯ এএম

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ৮-ইস্ট রোহিঙ্গা শিবিরে হামলার সময় শুক্রবার একটি গ্রেনেড ছোড়া হয়। অবিস্ফোরিত গ্রেনেডটি শিবিরের বস্তিতে ঘিরে রেখেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা। পুলিশ বলছে, গ্রেনেডটির উৎস খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে সেনাবাহিনীর বোমা বিস্ফোরক দল আজ শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম আজ সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শুক্রবার শিবিরের মোহাম্মদ নবী নামের যে রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তাঁর ঘরে পাওয়া গ্রেনেডের উৎস খুঁজে বের করতে আমরা কাজ করছি। এটা কি মিয়ানমারের, নাকি ভিন্ন কোনো দেশের তৈরি সেটাও দেখা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেলে মোহাম্মদ নবী নামের রোহিঙ্গার ঘরে সশস্ত্র হামলা চালায় আরসা হিসেবে পরিচিত ১০-১২ জনের রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের একটি দল। সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে তিনি আহত হয়ে বর্তমানে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা মোহাম্মদ নবী জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন, তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যেই সন্ত্রাসীরা গ্রেনেডটি নিক্ষেপ করেছিল। কিন্তু ভাগ্য ভালো এটির বিস্ফোরণ ঘটেনি। পুলিশ আহত রোহিঙ্গার এমন তথ্য সত্যি কি না তা যাচাই-বাছাই করছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সামছুদ্দৌজা নয়ন বলেন, ‘গ্রেনেডের ঘটনাটি মোটেই হেলাফেলার নয়। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ঘটনা। আমরা দেশি-বিদেশিদের বলছি, সরকারের নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে হচ্ছে ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট’

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার বাংলাদেশের সব নাগরিকের রয়েছে, এটা সংবিধানে গ্যারান্টি ...

ইনানীতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

অবশেষে কক্সবাজারে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং অত্যাধুনিক ফায়ার স্টেশন। অর্থনৈতিক এবং ...