প্রকাশিত: ১৪/০৫/২০১৬ ৭:৫০ এএম

টেকনাফ প্রতিনিধি::

টেকনাফে আনসার ব্যারাক হতে অস্ত্র -গুলি লুট ও আনসার কমান্ডার নিহতের ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় চললেও রহস্য উন্মোচন করা যাচ্ছে না এখনো। ঘটনার আকর্ষিকতায় সবই যেন হতভম্ব। মুখ খুলছে না কেউই। ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতারা কিছু ভাবতে পারছেনা। তেমনি কৌশলগত কারণে মুখ খুলছেনা আইনশৃংখলা বাহিনীর দায়িত্বশীলরাও। প্রশাসন অস্ত্র উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের দায়িত্বশীল সব সংস্থা এখানে পরিদর্শন করেছেন। চেষ্টা করছেন ক্লু বের করতে। তবে বেশ কয়েকমাস আগে আনসার সদস্যদের সাথে বন্দুক যুদ্ধে এক ডাকাত নিহত হওয়ার রেশ ধরে ঘটনার সূত্রপাত কি না তা নিয়ে এগুচ্ছে তদন্ত টিম।

এ ঘটনার বিষয়ে ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা আফজাল বলেন, এটি বড় ধরনের ঘটনা। ছোটখাট বিষয় নয়। সরকারই পারে এ ঘটনার তথ্য উৎঘাটন করতে। তবে তিনি ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের নিয়ে বড় ধরনের ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন। তিনি আরো জানান, শরণার্থীদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সশস্ত্র আনসার সদস্যদের ওপর হামলা হয়, নিহত হয়, অস্ত্র লুট হয়, সেখানে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই।

শরণার্থী ক্যাম্পের ই ব্লকের বাসিন্দা সাজেদা আখতার জানান, এখানে প্রায় সময় ডাকাতি সংঘটিত হয়, ডাকাত গ্রুপ হয়তো অস্ত্র লুট করে অস্ত্রের মজুদ বাড়িয়েছে। যাতে আরো বেশি ডাকাতি করতে পারে।

টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত ) কবির আহমদ বলেন , ঘটনাটি পরিকল্পিত বলে মনে হয়। তবে গত বেশ কয়েক মাস আগে আব্দুল হাফেজ নামে এক ডাকাত আনসার সদস্যদের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছিলো। এর রেশ ধরে এ ঘটনা কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

টেকনাফ নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. শাহেদুল ইসলাম জানান, বেশ কয়েকমাস আগে এখানে যোগ দিয়েছি। এ এধরনের ঘটনা ক্যাম্পে প্রথম। বিষযটি তদন্ত করা হচ্ছে। একনো ক্লু বের করা যাচ্ছে না। তবে ঘটনাটি নিয়ে বিষদ ভাবতে হবে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ব্যাপক অপকর্ম সংঘটিত হয়ে থাকে। সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা ক্যাম্প ইনচার্জ এবার পক্ষে সম্ভবও হয়ে উঠে না। শরণার্থী ক্যাম্প এলাকাটি চারদিকে অরক্ষিত । আগে তদন্ত আসল রহস্য বের হউক। এর আগে মন্তব্য ঠিক হবে না।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ আলী বলেন, কিছু দিন আগে একজন ডাকাত ধরে দিয়েছি। এখন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। এভাবে হলে আর ভালো কাজ করা ভযঙ্কর।

রোহিঙ্গা প্রতিরোধ সংস্থার সভাপতি এম মোজাম্মেল হক বলেন, কুতুপালং এলাকা প্রশিক্ষিত কিছু রোহিঙ্গা জঙ্গি টেকনাফ নয়াপাড়া , লেদা ও উপজেলা পরিষদের পেছনের পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে এরা অপহরণ করে টাকা আদায় ও ডাকাতি সংঘটিত করে থাকে। এসব পাহাড়ে অভিযান চালানো দরকার।

পাঠকের মতামত

উখিয়ায় বৌদ্ধ আশ্রমে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ

কক্সবাজারের উখিয়ায় একটি বৌদ্ধ আশ্রমে শিশুকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সেখানকার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর শিশুটির ...

বান্দরবানে কেএনএফের আস্তানায় যৌথ বাহিনীর অভিযান, নিহত ৩

বান্দরবানের রুমা উপজেলার রনিন পাড়ার কাছে ডেবাছড়া এলাকায় কেএনএফের একটি আস্তানায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর ...