উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১/১১/২০২২ ৫:১৩ পিএম

কক্সবাজার কলাতলী সংলগ্ন সৈকতে শত শত সাদা নুইন্যা বা “হোয়াইট টাইপ জেলিফিশ” মৃত অবস্থায় ভেসে এসেছে। ভাটার সময় সমুদ্র তীরে এসব জেলিফিশ দেখতে পান স্থানীয়রা।

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সৈকতের কলাতলীসহ একাধিক পয়েন্টে মৃত জেলিফিশগুলো ভেসে আসে।

খবর পেয়ে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দরের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞদের একটি দল সেখানে যান। তারা জেলিফিশগুলো নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন।

কী কারণে এত বিপুলসংখ্যক জেলিফিশ ভেসে এসেছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা বলতে পারেনি সমুদ্রবিজ্ঞানীরা।

সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “জেলিফিশ স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটতে পারে না। এ কারণে জোয়ারে ভেসে আসা জেলিফিশ ভাটার সময় সৈকতে আটকা পড়ে। আবার অনেক সময় জেলেদের জালেও আটকা পড়ে মারা যেতে পারে।”

এই সমুদ্রবিজ্ঞানী বলেন, “এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের জানা দুই হাজার প্রজাতির জেলিফিশের মধ্যে মাত্র ১২টি খাওয়া যায়। তার মধ্যে সাদা নুইন্যা বা হোয়াইট টাইপ জেলিফিশ (Lobonemoides robustus) অন্যতম। এটি খাদ্য হিসেবে বিভিন্ন দেশে বেশ জনপ্রিয়। এই জেলিফিশটির অন্যতম বিচরণক্ষেত্র হচ্ছে বঙ্গপোসাগরের কক্সবাজার উপকূল।”

সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর আরও বলেন, “বিভিন্ন সময়ে এসব সাদা নুইন্যা মৎস্যজীবীদের বিহুন্দি জালে অযাচিতভাবে আটকা পড়ে মারা যায়। পরবর্তীতে কক্সবাজার,পটুয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসে। অযত্ন অবহেলায় সৈকতে পড়ে থাকা এই সাদা নুইন্যা বা হোয়াইট টাইপ জেলিফিস (Lobonemoides robustus) খাদ্য হিসেবে ও প্রসাধন শিল্পে ব্যবহার হয়।”

এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “বঙ্গোপসাগরে সাদা নুইন্যার অন্যতম আবাসস্থল। তবে আমাদের দেশে এর কোনো ব্যবহার নেই। অথচ বিশ্বে জেলিফিশের ৫.৬০ বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। আমরাও এই অবহেলিত সামুদ্রিক পণ্যটির স্থানীয় বাজার সৃষ্টির পাশাপাশি রপ্তানি করে সুনীল অর্থনীতিতে অনন্য ভূমিকা রাখতে পারি।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ গেল স্ত্রীর, রক্ষা পেল স্বামী

‎ মোটরসাইকেলে করে বাঁশখালীর পুকুরিয়া থেকে ‎স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যাচ্ছিলেন স্বামী মোঃ ইউসুফ। কক্সবাজারের ...