ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৯/০৮/২০২২ ১০:২৪ এএম

অসহনীয় গরম ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট চরম আকার ধারণ করেছে। সময় অসময়ে লোডশেডিং কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সারাদেশে সীমিত আকারে লোডশেডিং কার্যকরের যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে নির্দেশনা মতে বিদ্যুতের লোডশেডিং কার্যক্রম পরিচালিত হলেও তা অতিমাত্রায় বেশী বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। তবে উপজেলা পর্যায়ে ৭/৮ ঘন্টারও বেশী লোডশেডিং হচ্ছে হলে জানা যায়। এছাড়া ভাদ্র মাসে ৩৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে জানায় কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা যায়, কক্সবাজার ১৮ আগষ্ট সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা গরম কালের চাইতেও বেশী। ৩ নং সতর্ক সংকেত থাকায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। ২/৩ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে আসার সম্ভবনা রয়েছে।
কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ সূত্রে জানা যায় পুরো জেলায় ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকে। অনেক সময় এর কমও হয় বেশিও হয়। বরাদ্দ পায় ১৫ থেকে ২০ মেগাওয়াট পর্যন্ত। কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের একজন উপসহাকারী প্রকৌশলী জানিয়েছেন বিদ্যুৎ যা পাওয়া যায় এটি দিয়ে কোন রকম চালানো হচ্ছে। চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ পাওয়া গেলে এতে যা করার তা করতে হচ্ছে। যার ফলে বিদ্যুৎ বিভাগ নানা কৌশল অবলম্বন করে গ্রাহকদের স্বস্থি পর্যায়ে রাখার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। হোটেল-মোটেলে প্রায় জেনারেটর রয়েছে। তাই লোডশেডিং ওই এলাকায় বাড়িয়ে আবাসিক এলাকায় কমানো হচ্ছে। মানুষের মাঝে সচেতনতা এসেছে। চাহিদাও ধীরে ধীরে কমে আসছে।
কক্সবাজার শহরের পান বাজার সড়কের ব্যবসায়ি কাজল বাবু জানিয়েছেন পূর্ব ঘোষণা দিয়ে লোডশেডিং করা হলেও এখন অতিমাত্রায় বেশী লোডশেডিং করা হচ্ছে। কোন সময় দফায় দফায় লোডশেডিং করা হচ্ছে। আর্ন্তজাতিকভাবে যখন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তাই সবাইকে একটু সহনশীল হতে হবে এটি মেনে নিয়েই আমরা ব্যবসা করছি।

কলাতলীর ব্লু-পাল আবাসিক হোটেলের তত্বাবধায়ক সালাহ উদ্দিন ও মোহাম্মদ ইউনুচ জানিয়েছেন দৈনিক অন্তত ৮/১০ ঘন্টা জেনারেটর চালাতে হচ্ছে। ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খরচ অনেক বেড়ে গেছে। সরকারের নির্দেশনা মেনে লোকসান হলেও আমরা ধৈর্য্যসহকারে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে ভিন্ন পরিস্থিতি বিরাজ করছে বিভিন্ন উপজেলায়। সরকারের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, একদিনের জন্য গ্রামের বাড়ি মহেশখালীতে গিয়ে বিপাকে পড়েছি। মোবাইলে চার্জ দেওয়ার অবস্থা ছিল না। সারারাত বিদ্যুৎ ছিল না। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। সময় অসময়ে লোডশেডিং না করে ধারাবাহিকভাবে লোডশেডিং করলে তেমন সমস্যা হত না।মানুষ আগেই প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পেত।
মহেশখালী পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মোহাম্মদ আল আমিন জানিয়েছেন যা বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে সেভাবেই সরবরাহ করা হচ্ছে। এর বাইরে করার কিছু নেই। আমরা গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
কক্সবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের গণি জানিয়েছেন বিদ্যুৎ যতটুকু পাওয়া যায় তা সমভাবে বন্টন করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এতে লোডশেডিং যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু করতে হয়। তারপরেও বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় যাতে লোডশেডিং কম হয় সেদিকে আমরা খেয়াল রাখছি। সুত্র:দৈনিক কক্সবাজার

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে এনজিওগুলোকে সতর্ক থাকার আহ্বান

বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে লুকিয়ে ...

দলের নির্দেশনাকে পাত্তা দিচ্ছে না টেকনাফ মহিলা দলের দুই নেত্রী

আ.লীগ সরকারের অধীনে ধারাবাহিকভাবে সকল নির্বাচন বর্জন করে আসছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। তারেই ধারাবাহিকতায় ...

হিট স্ট্রোকে রামু রহমানিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা ছালামত উল্লাহর ইন্তেকাল, নামাযে জানাযা সম্পন্ন

রামু মেরংলোয়া রহমানিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা ছালামত উল্লাহ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল ...