প্রকাশিত: ২৩/১০/২০১৮ ৯:৫৫ এএম

নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া :
পেকুয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রী ও আনসার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। তারা প্রেমিক জুটি। সংসার করতে রাতে গোপনে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। একটি বাড়িতে অবস্থান করছিল।

খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ রাতে একটি বাড়ি থেকে প্রেমিক জুটিকে আটক করে। তবে এ ২ জন স্বামী ও স্ত্রী বলে দাবী করা হয়েছে।

রবিবার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের জালিয়ারচাং গ্রাম থেকে প্রেমিক জুটিকে আটক করা হয়েছে। প্রেমিকের নাম তাজেম উদ্দিন(২৫) ও প্রেমিকার নাম রাফিয়া সোলতানা(১৮)। ছেলে রাজাখালী ইউনিয়নের মাঝিরপাড়ার আবুল বশরের ছেলে।

রাফিয়া সোলতানা একই ইউনিয়নের মাতবরপাড়ার শফিউল কাদেরের মেয়ে। পেকুয়া থানার এস,আই আশিকুর রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্স ওই দিন রাতে এ ২ জনকে আটক করে।

সুত্র জানায়, রাফিয়া সোলতানা ও তাজেম উদ্দিন এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গোপনে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। তারা সম্পর্কে বেয়াই ও তালতো বোন। তাজেম উদ্দিনের এক চাচাতো ভাইয়ের শালিকা রাফিয়া সোলতানা। এ সুবাধে এদের পরিচয়। পরবর্তীতে প্রেম ও মন দেয়া নেয়া হয়। ছেলের পারিবারিক সুত্র জানায়, তাজেম উদ্দিন সিকিউরিটি সার্ভিসে চাকুরী করে। তিনি আনসার বাহিনীর বিশেষ সদস্য।

অপর দিকে রাফিয়া সোলতানা চট্রগ্রাম শহরের কামালে ইসকে মোস্তফা (সা:) ফাজিল মাদ্রাসার আলিম ২য় বর্ষের ছাত্রী।

১৯ অক্টোবর শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে রাফিয়া সোলতানা নিজ বাড়ি রাজাখালী থেকে পালিয়ে যায়। ওই সময় থেকে এ ছাত্রী প্রায় ৩ দিন নিরুদ্দেশ ছিল। রাফিয়ার মা জানায়, ঘটনার ২ দিন আগে মেয়ে চট্রগ্রাম থেকে বাড়িতে আসে। মেয়েটির চাচা রাঙ্গামাটিতে চাকুরী করেন। ওই দিন চাচা-ভাতিজি এক সাথে বাড়িতে পৌছে। আমরা মেয়েকে হারিয়ে নির্বাক ও বিচলিত হয়েছিলাম। থানায় জিডি হয়েছে।

এ দিকে ছেলের পরিবার জানায়, রাফিয়া ও তাজেম উদ্দিন স্বামী-স্ত্রী। তারা কয়েক মাস আগে গোপনে বিবাহ কার্য সম্পাদন করে। মেয়ে ও ছেলে বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখছিলেন। পারিবারিক অসম্মতি থাকায় তারা পালিয়ে গিয়ে সংসার জীবন শুরু করে।

স্থানীয় সুত্র জানায়, রাফিয়ার পিতাকে কিছুদিন আগে একটি মামলায় আসামী করে। একজন মহিলাকে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে তার শরীর ঝলসে যায়। ওই মামলায় রাফিয়ার পিতাকে আসামী করে। প্রতিবেশীর সাথে এদের পারিবারিক বিরোধ ছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা তার পিতাকে ঘায়েল করছে বলে মাতবরপাড়ার লোকজন জানায়। মামলায় উভয়পক্ষের মধ্যে চরম অনৈক্যভাব তৈরী হয়েছে।

ইউপি সদস্য ওসমান গণি জানায়, আসলে এ মেয়েকে কেউ অপহরন করেননি। তার পিতাকেও যে মামলাটি দেওয়া হয়েছে সেটিও প্রশ্নবিদ্ধ।

সমাজপতি আক্তার আহমদ জানায়, রাফিয়াকে অপহরন করা হয়নি। তারা ধারনা করছিল প্রতিপক্ষ মেয়েটিকে কোথাও গোপন করেছে। উদ্ধার হওয়ার পর আসল রহস্য স্পষ্ট হয়েছে।

পেকুয়া থানার এস,আই শফিকুল ইসলাম জানায়, ওসি স্যার ও তদন্ত স্যার কক্সবাজারে কনফারেন্সে গেছে। জিডি ছিল। আসলে এরা প্রেমিক জুটি।

পাঠকের মতামত