
কক্সবাজার পৌরসভার টমটমের অবৈধ লাইসেন্স প্রদান নিয় কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলছেন, সম্প্রতি কক্সবাজার পৌরসভায় টমটমের অবৈধ লাইসেন্স প্রদানের বিষয়টিতে কোনো পৌর কর্মচারী বা কোনো ইন্ধনকারী জড়িত থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় জেলা প্রশাসক এ কথা বলেন।
রোববার (১০ আগস্ট) সকালে জেলা প্রশাসনের শহিদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘চাঁদাবাজিতে যারা যুক্ত আছে তাদেরকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না। এদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নজরদারিসহ তৎপর থাকতে হবে। মুক্ত-বাক, মুক্ত-চিন্তার প্রসার ঘটাতেই সংঘটিত হয়েছিল জুলাই অভ্যুত্থান। সকলে মিলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারলেই হবে এর সার্থকতা।’
তিনি বলেন, ‘জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও বিশেষভাবে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’
এছাড়া মাদকের বিরুদ্ধেও সোচ্চার জেলা প্রশাসন, পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘মাদক পাচার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সাধারণ মানুষের সচেতনতা জরুরি। মাদক নিয়ন্ত্রণে কেবলমাত্র কক্সবাজারের জন্য পৃথক একটি জাতীয় পর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করেছে সরকার।’
উৎসব মুখর পরিবেশে ও শান্তিপূর্ণভাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমী উদযাপনের লক্ষে কক্সবাজারে জেলা-উপজেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক। এ ছাড়া অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, যৌথ অভিযান বৃদ্ধি পেয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে সচেতনতা বাড়াতে ১০০ মেট্রিক টন প্লাস্টিক সংগ্রহের টার্গেট নিয়ে সৈকতে প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ মার্কেট বসানো হয়েছে।’
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. শাহিদুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দীন শাহীন, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদুল হক, পৌর প্রশাসক রুবাইয়া আফরোজ, সাবেক হুইপ জেলা বিএনপি সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী, ছাত্র প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধিসহ ছাত্র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মাদক পাচার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অপহরণরোধে ব্যবস্থা, জনদুর্ভোগ লাঘবে যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার, জলাবদ্ধতা নিরসন, লাইসেন্সবিহীন ও অবৈধ ক্লিনিক এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, টমটমে নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা প্রদর্শিত স্থানে রাখা, নিরাপদ সৈকত নিশ্চিতকরণ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
পাঠকের মতামত