
সৈয়দুল কাদের ::
কক্সবাজারে এখনো জমে উঠেনি ঈদ বাজার। অধিকাংশ শপিং মলে তেমন ক্রেতা নেই। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর প্রথমবারের মত উদযাপিত হবে আগামী ঈদ। যার ফলে এই ঈদে ব্যবসায়িদের প্রত্যাশাও বেশী। এছাড়া লোকসানে বিপর্যস্থ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরাও আশাবাদী আগামী ঈদ ও পরবর্তী পর্যটন ব্যবসা নিয়ে।
কক্সবাজার শহরের পান বাজার সড়কের ব্যবসায়ি জিল্লুর রহমান কাজল জানিয়েছেন দোকানে ক্রেতা তেমন বাড়েনি। এই স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যা বিক্রি হওয়ার কথা তেমন ক্রেতা নেই। এরপরও আমরা আশাবাদী আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি ভাল হবে। দীর্ঘ করোনা কালে ব্যবসায়িরা লোকসান দিয়ে প্রায় ক্লান্ত।
শহরের আজমীর জুয়েলার্সের মালিক মোস্তাক আহমদ জানিয়েছেন আমাদের বেচা-বিক্রি তেমন নেই। এখন দোকান ভাড়া,বিদ্যুৎ বিল ও কর্মচারীর বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছি। এরপরও ঈদ সামনে নিয়ে আশাবাদী হয়ে আছি।
কক্সবাজার শহর ঘুরে দেখা যায়, আপন টাওয়ার, নিউমার্কেট, কোরাল রীফ প্লাজা, পৌর সুপার মার্কেট, এ ছালাম মার্কেট, হাশেম টাওয়ার, হাজেরা শপিংমল, ফজল মার্কেট, নিউ সমবায় সুপার মার্কেট, সী-কুইন মার্কেট, গোলজার টাওয়ারসহ সব শপিংমলে ক্রেতাদের তেমন ভিড় নেই। অনেক ব্যবসায়ি অলস সময় কাটাচ্ছেন।
এদিকে পহেলা বৈশাখ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা তিন দিনের ছুটিতেও পর্যটক ছিল না কক্সবাজারে। সমুদ্র সৈকতের দুয়েকটি পয়েন্টে কিছু সংখ্যক স্থানীয় পর্যটক দেখা গেলেও দূর-দূরান্ত থেকে আসেনি কোনও পর্যটক। রমজানের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। তবে আসন্ন ঈদে বিপুল সংখ্যক পর্যটক এই সমুদ্র সৈকতে আসবেন বলে আশা করছেন তারা।
এখন পর্যটক শূন্য কক্সবাজার। তবে আশা ছাড়ছেন না ব্যবসায়িরা। পর্যটক না থাকায় অধিকাংশ হোটেল, মোটেল, কটেজ ও রেস্টুরেন্টগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। পর্যটন এলাকা কলাতলীর হোটেল, মোটেল ও কটেজগুলোতে বুকিংও নেই। সৈকতের বিচ বাইক, ভ্রাম্যমাণ হকার, দোকানদার ও ফটোগ্রাফাররা অনেকটা বেকার বসে আছেন।
হোটেল সাইমন ব্লু পার্ল এর তত্বাবধায় সালাহ উদ্দিন জানিয়েছেন আমাদের প্রতিক্ষার শেষ নেই কবে আসবে পর্যটন শিল্পে সুদিন। করোনার কারণে আমরা অর্থনৈতিক ভাবে বিপর্যস্ত। আগামীতে সুদিন আসবে এমন প্রত্যাশায় আছি।
বিচ বাইক ব্যবসায়ী ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাখো পর্যটকের সমাগম হয়। কিন্তু, এই বছর তেমনটি হয়নি। একারণে আমরা খুব বেকায়দায় পড়েছি। রমজান তাই হয়নি। আশাকরি ঈদের পরে পর্যটক আসবে।
কক্সবাজার দোকান মালিক সমিতি ফেডারেশন সভাপতি প্যানেল মেয়র মাহবুবুর রহমান মাবু জানিয়েছেন সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশী মূল্যে কোন পণ্য বিক্রি না করতে ব্যবসায়িদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি শপিং মলেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাত্তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো.হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন ১৫ ই রমজান থেকে প্রতিটি শপিং মলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশি টহল বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতিটি মোড়ে পুলিশের অবস্থান থাকছে।
পাঠকের মতামত