প্রকাশিত: ২৮/১২/২০১৭ ৯:০০ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৮:৫১ এএম

শৃঙ্খলা ভঙ্গ সাব্বিরের জন্য নতুন কিছু নয়। গত দুই বিপিএলেই আম্পায়ারকে গালি দিয়ে জরিমানা গুনেছিলেন, ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। তবে এবার আগের সব অপকর্মকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। রাজশাহী শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে জাতীয় লীগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচ চলাকালীন এক কিশোর দর্শককে বেধড়ক পিটিয়েছেন সাব্বির। শুধু তাই নয়, পরের দিন ম্যাচ রেফারি এ ব্যাপারে তাকে ডেকে পাঠালে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এ ঘটনার কোনো প্রতিবেদন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) দেওয়া হলে অসুবিধা হবে বলে ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারদের হুমকি-ধমকিও নাকি দেন সাব্বির।

স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে বিসিবি। অভিযোগ প্রমাণ হলে বড় ধরনের আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি ঘরোয়া লীগে কয়েকটি ম্যাচে নিষিদ্ধও হতে পারেন তিনি।

২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া রাজশাহী-ঢাকা মেট্রো ম্যাচের দ্বিতীয় দিন (২১ ডিসেম্বর) মধ্যাহ্ন বিরতির ঘণ্টাখানেক পর ঘটে ঘটনাটি। রাজশাহী তখন ফিল্ডিংয়ে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, লাঞ্চ করে সাব্বির যখন ফিল্ডিংয়ে নামছিলেন তখন গ্যালারি থেকে কেউ একজন তাকে উদ্দেশ করে ‘ম্যাঁও’ বলে চিৎকার করে। আর এতেই ভীষণ খেপে যান সাব্বির। খেলা চলার সময়েই পরিচিত কাউকে দিয়ে ওই দর্শককে ধরে আনান সাব্বির। এরপর আম্পায়ারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে মাঠের বাইরে গিয়ে সাইটস্ট্ক্রিনের পেছনে ১২/১৩ বছর বয়সী এ কিশোরকে বেধড়ক পেটান সাব্বির। বিকেল ৪টার দিকে ম্যাচ রেফারি শওকাতুর রহমান চিনুকে ঘটনাটি অবহিত করেন রিজার্ভ আম্পায়ার শওকত আলী। ঘটনাস্থলে থাকা আকসুর প্রতিনিধি আহসান হাবিবও ম্যাচ রেফারিকে নিশ্চিত করেন ঘটনাটি। পরের দিন সাব্বির ও রাজশাহীর ম্যানেজারকে ডেকে পাঠান ম্যাচ রেফারি। ম্যাচ রেফারির সামনে গিয়েও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তরুণ এ ক্রিকেটার। বিষয়টি নিয়ে বিসিবিতে কোনো প্রতিবেদন দেওয়া হলে ম্যাচ অফিসিয়ালদের অসুবিধা হবে বলেও চোখ গরম করে শাসান সাব্বির। এটা ম্যাচ রেফারির কাজ নয় বলেও ধমকের সুরে বলেন তিনি।

তবে ম্যাচ রেফারি এসব হুমকি-ধমকির তোয়াক্কা করেননি। তিনি ওই দিনই (২২ ডিসেম্বর) সাব্বিরের বিরুদ্ধে গুরুতর শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগে রিপোর্ট জমা দেন। রিপোর্ট পাওয়ার কথা স্বীকার করে বৃহস্পতিবার ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, ‘আমি এরই মধ্যে রিপোর্ট শৃঙ্খলা কমিটিকে দিয়ে দিয়েছি। বাকিটা তারা সিদ্ধান্ত নেবে।’

শৃঙ্খলা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শেখ সোহেল জানান, প্রতিবেদন এখনও হাতে পাননি। তিনি বলেন, ‘মৌখিকভাবে শুনেছি। যতটুকু শুনেছি তাতেই মনে হচ্ছে, কঠিন শাস্তি পাবে সে। শুনেছি মাঠে সে মোবাইলও ব্যবহার করেছে। ম্যাচ চলাকালীন মোবাইল ব্যবহার তো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। রিপোর্ট পাওয়ার পর অতি দ্রুতই আমরা তাকে ডাকব। তার বক্তব্য শুনে দ্রুতই আমরা সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।’

বৃহস্পতিবার অনুশীলনের ফাঁকে একাডেমি মাঠে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করলে সাব্বির বলেন, ‘এখন আমি কিছু বলতে পারব না। পরে অবশ্যই বলব।’

পাঠকের মতামত