প্রকাশিত: ০২/১২/২০১৭ ৫:৪৪ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১০:১১ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
কক্সবাজারের উখিয়ার রেজুখালের মোহনায় নির্মিত হচ্ছে সি-ক্রুস স্টেশন। এতে গভীর সমূদ্র ভ্রমণের পাশাপাশি সেন্টমার্টিন, মহেশখালী ও সোনাদিয়া দ্বীপে যাতায়াত করার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। এরফলে সমুদ্র নগরী কক্সবাজার পর্যটকদের কাছে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। এক প্রকার কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে নব-দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলতি মৌসুমেই তা চালু করতে কক্সবাজার ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন (টুয়াক)‘ সহ বিভিন্ন সংস্থার সাথে যৌখ বৈঠক করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
গতকাল শুক্রবার সকালে কক্সবাজারের মারমেড রিসোর্টে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমোডর শাহিনের নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধি দলে চীফ হাইড্রোফার আরিফুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
চীফ হাইড্রোফার আরিফুর রহমান জানান, ২৯ দেশের নৌ সম্মেলনের সব জাহাজ এই পথে ভীড়ে ছিল। তাই এই স্টেশনটি থেকে এখন দেশের এক মাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় জাহাজ চলাচল করতে পারবে। সে বিষয়টি নিয়ে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবার সিদ্ধান্ত খুব শীঘ্রই কক্সবাজার থেকেই সেন্টমার্টিন যাবে জাহাজ। এতে পর্যটকদের আরও সুবিধা ও পর্যটন শিল্পে দৃঢ় ভুমিকা রাখবে এই স্টেশন।
উক্ত বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জানান, কক্সবাজার ও টেকনাফের মধ্যবর্তী এলাকাকে ঘিরে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের পর্যটন শিল্প। বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা) ইতিমধ্যে টেকনাফের সাবরাংসহ কয়েকটি এলাকায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। সেই আলোকে আমরা রেজুখালের মোহনায় এই স্টেশন নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছি।
বৈঠকে থাকা কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন (টুয়াক) এর সভাপতি রেজাউল করিম জানান, সি-ক্রুজ টার্মিনাল নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। এখন কক্সবাজারে সরাসরি ভীড়তে পারবে যে কোন দেশীয় যাত্রীবাহি জাহাজ। এটা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যুক্ত করবে। পাশাপাশি বিদেশী পর্যটকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে আকৃষ্ট করবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফোরকান আহম্মদ বলেন, কক্সবাজার একটি পর্যটন শহর। কিন্তু এখান থেকে সেন্টমার্টিন, সোনাদিয়া, মহেশখালী কিংবা কুতুবদিয়া যাওয়ার জন্য ভালো কোনো জেটি নেই। রেজু খালের মোহনায় এ ধরনের একটি স্টেশন নির্মিত হওয়ায় পর্যটন শিল্প আরো এগিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের মহেশখালীতে গড়ে উঠছে ১২০০ মেগাওয়াটের কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প ও এলএনজি প্ল্যান্ট; টেকনাফে নাফ নদীর মাঝে অবস্থিত জালিয়ার দ্বীপে হচ্ছে নাফ ট্যুরিজম পার্ক আর নাফের উজানে হতে যাচ্ছে সাবরাং বিশেষ পর্যটন জোন।

পাঠকের মতামত

নাইক্ষ‌্যংছড়ি উপজেলা নির্বাচন বর্জনে জেলা বিএনপির লিফলেট বিতরণ

বান্দরবান জেলার আসন্ন নাইক্ষ‌্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনে বান্দরবান জেলা বিএনপির দিনব‌্যাপি লিফলেট বিতরণ করা ...

নাইক্ষ‍্যংছড়ির গহিন অরণ্যে অভিযান, ৮টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার

বান্দরবানের নাইক্ষ‍্যংছড়ির গহিন অরণ্যে দুর্বৃত্তদের আস্তানায় হানা দিয়ে ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ...