প্রকাশিত: ০৪/০৬/২০১৮ ৮:১৯ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ২:১১ এএম

হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া ::
রোহিঙ্গা অধ্যুষিত উখিয়ায় এখনো ঈদ বাজার জমে উঠেনি। গেল বছর এ সময়ে শপিং মল থেকে ফুটপাত পর্যন্ত সব খানে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু এবার এর ব্যতিক্রম।কেনাকাটার জন্য উখিয়া সদর একরাম মার্কেট পছন্দের জায়গা বলেছেন, কাজিপাড়া এলাকার গৃহিনী খালেদা আক্তার। তিনি বলেন, এটাই কেনাকাটার একমাত্র জায়গা। যেখানে দর-দাম করা যায়। একরাম মার্কেটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আদিল বলেন, ২০ রমজানের পর থেকে এখানে বেচা-বিক্রি বাড়বে বলে আশা করা যায়। কাপড় ব্যবসায়ী হুমায়ুন বলেন, এখনো ঈদ বাজার জমে উঠেনি। আরো কয়েক দিন পর জমজমাট হবে বলে তিনি মনে করেন। কথা হয় একরাম মার্কেটের বাটা দোকানের মালিক শাহজাহানের সাথে তিনি বলেন, মানুষের মাঝে শান্তি নেই। এখনো পরিবার পরিজন নিয়ে কেনা-কাটা করতে বাহির হয়নি অনেকেই। তাছাড়া চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের ফলে অনেকে ঘর ছাড়া হয়েছেন। আবার রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প থেকে বের হতে না দেয়ায় ক্রেতার সংখ্যা কম। আরেক ব্যবসায়ী জসিম বলেন, দিন যত বাড়বে বেচাকেনা তত জমজমাট হবে। বেশিরভাগ ক্রেতা এখনো কালেকশনগুলো দেখছেন, শিক্ষকসহ অন্যান্য চাকরিজীবীরা ঈদ বোনাসসহ বেতন পেলে সময় আরো কয়েকদিন পর পছন্দের কেনাকাটা সেরে নেবেন। উখিয়ায় এখন রোহিঙ্গার কারণে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার চাকরিজীবী রয়েছেন। তাছাড়া অনেকেই অসহায় নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের কেনাকাটা করে দেবেন। তাই আশা করা যায় এবার বিক্রি ভালো হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরিরত তাসলিমা বলেন, কয়েক দিন এই মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে পোষাক দেখছিলেন। দোকানে ভিড় কম থাকায় পছন্দের পোষাকটি দেখে নিতে স্বাচ্ছন্দবোধ করছি। একরাম মার্কেট, জিএম মার্কেট, এন আলম মার্কেটসহ উখিয়ায় প্রায় মার্কেটগুলোতে দেশীয় পোষাকের আধিক্যের পাশাপাশি বিদেশী পোষাক সঙগ্রহ করে রাখেন বিক্রেতারা। তাছাড়া রোহিঙ্গাদের দেয়া পণ্য সামগ্রী ফুটপাতে স্বল্প মূল্যে বেচাকেনা হচ্ছে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে যে কোন ধরনের জিনিস নিত্যপণ্য সামগ্রী ক্রেতারা অনায়াসে কিনতে পারছে। ঈদের কেনাকাটায় মেয়েদের ভিড় সব চেয়ে বেশি হয়। অধিকাংশ ব্যবসায়ী জানান, এবার বেশি বিক্রি হচ্ছে জর্জেটের কাজ করা থ্রিপিছ, বিদেশি পোষাকের মধ্যে ভারতীয় বুটিকস আইটেমের থ্রিপিছ, লন, ভয়েল। এ ছাড়া দেশীয় থ্রিপিছের কাপড়ের মধ্যে প্রিন্টের থ্রিপিছ, ব্লক, বাটিকের বিভিন্ন ডিজাইন করা থ্রিপিছ বিক্রি হচ্ছে। পাশের দোকানদার সজল বলেন, তার দোকানে বেশি বিক্রি হচ্ছেপোষাকের সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন ধরনের অলংকার,গহনা, স্যান্ডেল, ব্যাগ সেই সঙ্গে প্রসাধনী।

পাঠকের মতামত

গদি নেই তবু সাবেক এমপি বদি!

আবদুর রহমান বদি। কক্সবাজার-৪ আসনের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য ছিলেন, তাও আবার ক্ষমতাসীন দলের টিকিটে। মাদক ...

মিয়ানমারে সশস্ত্র লড়াই: আরাকান আর্মির কাছে গুরুত্বহীন রোহিঙ্গারা

মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর নির্যাতনের অবসান ঘটিয়ে নিজেদের জাতিসত্তার স্বীকৃতি আদায় এবং রাখাইন রাজ্যে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার ...

কক্সবাজারে মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে এনজিওগুলোকে সতর্ক থাকার আহ্বান

বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে লুকিয়ে ...