প্রকাশিত: ০১/০৯/২০১৬ ৮:০৪ পিএম

151957_1জাবি: দেশের বিজ্ঞান গবেষণা কার্যক্রমকে একধাপ এগিয়ে নিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা তৈরি করতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নির্মিত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান গবেষণাগার।

বাংলাদেশে পরমাণু বিজ্ঞানচর্চার অন্যতম পথিকৃৎ ড.ওয়াজেদ মিয়াকে স্মরণীয় করে রাখতেই তার নামে এ গবেষণাগারটির নামকরণ করা হয়েছে ‘ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র’।

প্রায় ১৫কোটি টাকা ব্যয়ে ছয়তলা এই গবেষণাগারের নির্মাণ কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে এ কেন্দ্রটির ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়। গবেষণাগারটি চালু হলে এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান অনুষদ এবং জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত সকল বিভাগ, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গবেষণা করতে পারবেন। এখানে দেশি গবেষকদের পাশাপাশি বিদেশিরাও গবেষণা করতে পারবেন।

ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণাকেন্দ্রের সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী নিখিল চন্দ্র ভৌমিক বলেন, ‘বিজ্ঞান গবেষণার জন্য ইতোমধ্যে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশি বিদেশি বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হয়েছে। এর মধ্যে অ্যাটোমিক অ্যাবজর্বশন স্পেক্টোফোটোমিটার (এএএস), হাইপারফরমেন্স লিকুইড ক্রোম্যাটোগ্রাফ (এইচপিএলসি), এফটি-ইনফ্রারেড স্পেক্টোফোটোমিটার এবং ইউভি-ভিজিব্লু স্পেক্টোফোটোমিটার অন্যতম।

এসব ভারি যন্ত্রপাতি ছাড়াও ক্রয় করা হয়েছে ইলিমেন্টাল অ্যানালাইজার,আল্ট্রালো টেম্পারেচার ফ্রিজার, শেকিং ইনকিউবেটর, রেফ্রিজারেটেড আল্ট্রাসেন্ট্রিফিইজ, আল্ট্রাসনিক বাথ, পিসি বেজড অটোমেটেড ইলেক্ট্র কেমিক্যাল ওয়ার্কস্টেশন, কমপিট ইমালশান ওয়েল ফোটোকেমিক্যাল রি-অ্যাক্টার, অ্যাডভান্সড্ রিসার্চ মাইক্রোস্কোপ, ট্রাইনোকিউলার স্টেরিও জুম মাইক্রোস্কোপ।

এদিকে ইতোমধ্যে গবেষণার কাজে ব্যবহূত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও গবেষণাগার পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মো. খবির উদ্দিন বলেন, গবেষণা ছাড়া কোনো দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই শুধু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, সারা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে এই বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রটি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমকে তরান্বিত করার জন্য বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র একমাত্র প্রতিষ্ঠান যা বিজ্ঞান ভিত্তিক সব বিভাগের সুযোগ সুবিধা দিতে পারবে। অতিদ্রুতই বিজ্ঞান গবেষণাকেন্দ্রটির উদ্বোধন করা হবে বলেও তিনি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো. আবুল হোসেন বলেন, প্রশাসনের সুষ্ঠ তদারকির ফলে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ একেবারেই শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এই কাজগুলো শেষ হলেই আমরা এটির উদ্বোধন করব।

পাঠকের মতামত

নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, এখন বিসিএস ক্যাডার

গল্প-আড্ডায় বিশ্ববিদ্যালয়জীবনটা উপভোগের সুযোগ আবদুল মোত্তালিবের হয়নি। দুপুর গড়ালেই তাঁকে ছুটতে হতো কাজে। অসচ্ছলতার কারণে ...