প্রকাশিত: ০৫/০৮/২০১৮ ১০:৫০ পিএম , আপডেট: ১৬/০৮/২০১৮ ১১:৪৪ পিএম

নিউজ ডেস্ক::
উখিয়ার আড়াই লক্ষাধিক স্থানীয় জনগোষ্টীর একমাত্র স্বাস্থ সেবা প্রতিষ্টান স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে গত ৫ বছরে পথ্য ও খাবার সরবরাহসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার অনিয়ম হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০ টায় স্বাস্থ কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্টিত সভায় বক্তারা এ অভিযোগ উত্তাপন করলে থলের বেড়াল বেরিয়ে আসে। এসময় স্বাস্থ কমিটির সদস্যরা হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম তোলে ধরলে উপজেলা প্রশাসন প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে প্রকাশ্যে টেন্ডার আহব্বান করে রোগীদের পথ্য ও খাবার সরবরাহের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করার নির্দেশ দেন।
হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের প্রতি বৃহস্পতিবার হাসির মাংস ও শনিবার কোরাল মাছ দিয়ে মান সম্মত চাউলের ভাত দেওয়ার কথা থাকলেও ডিম আর ডাল দিয়ে রোগীদের ভাত সরবরাহ দেওয়া হয়। রোগীদের বিছানার ছাদও বালিশ কবার প্রতিদিন ধৌত করে রোগীদের স্বাস্থকর পরিবেশে বিছানা করে দেওয়ার বাধ্যবাদকতা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। নীতিমালা অনুযায়ী জনপ্রতি রোগীর জন্য খাবার বাবত ১২০ টাকা বরাদ্ধ রাখার নিয়ম থাকলেও ৫০ টাকার ভিতরে রোগীদের খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। সভায় বক্তাদের উত্তাপিত তথ্যে জানা গেছে, প্রতি বছর বছর প্রকাশ্যে টেন্ডার আহব্বান করে ঠিকাদার নিয়োগ করার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারনবশত টেন্ডার আহব্বান করা হয়নি। হাসপাতালের করনীক ফরিদুল আলম স্থানীয় হওয়ার সুবাদে হাসপাতালের যাবতীয় আয় ব্যয়সহ কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রভৃতির উপর প্রভাব বিস্তার করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা লোপাট করছে। তার অনিয়ম দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতার কারনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র এ বদলী করলেও তাকে বেশি দিন রাখা সম্ভব হয়নি। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সে আবারো উখিয়ায় বদলী হয়ে আসার কারনে উখিয়া হাসপাতালের সার্বিক ক্ষেত্রে বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্য কমিটির প্রভাবশালী সদস্য অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, হাসপাতালের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও বেড়েছে দুর্নীতি। রোগীরা যতাযত স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে না। সরকারী ঔষুধ চোরাই পথে পাচার হয়ে যাওয়ার ফলে রোগীদের টাকা দিয়ে ঔষুধ কিনতে হচ্ছে। বেড়েছে স্থানীয় দালালের প্রভাব। এ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান বাড়াতে হলে দালালমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলতে হবে। এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ঠিকাদারী সংস্থা মেসার্স ঐশি কনষ্ট্রাশনের স্বত্বাধিকারী পংকজ শর্মা হাসপাতালের পথ্য ও খাবার সরবরাহের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ হওয়ার পর থেকে অনিয়ম শুরু হয়েছে। গত ৫ বছর কেন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, টেন্ডার আহব্বানের সিভিল সার্জেনকে ৬ বার তাগিদ দেওয়ার পরও ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়নি। তিনি বলেন, মাত্র ৩ মাস হচ্ছে উখিয়া হাসপাতালে যোগদান করেছেন তথাপিও তিনি আপ্রান চেষ্টা করছেন হাসপাতালের সার্বিক পরিবেশ উন্নত করার জন্য। সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী, চেয়াম্যান নুরুল আমিন, চেয়ারম্যান খাইরুল আলম, ওসি তদন্ত খাইরুজ্জামান, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম, মিলন বড়–য়াসহ বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিবৃন্ধরা উপস্থিত ছিলেন। ইউএনও গত ৫ বছরের ১৫ লাখ টাকা অনিয়মের ব্যাপারে তদন্ত করে দেখার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...