প্রকাশিত: ০২/১০/২০১৬ ৮:০১ এএম

নিউজ ডেস্ক::

জেলায় বিএনপির শক্তিমান রাজনৈতিক অঙ্গন হিসাবে পরিচিত ১৩৩ সদস্য বিশিষ্ট উখিয়া উপজেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হলেও পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে না পারায় যোগ্যতা থাকলেও পদ পায়নি অনেক ত্যাগী নেতা। ফলে দিন দিন বঞ্চিত নেতার সংখ্যা বেড়েই চলছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশার শেষ নেই। যার প্রভাব পড়তে পারে আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে। এমনিতে সরকারি দলের চাপের মুখে ন্যস্তনাবোধ এ দলটি গুছাতে গিয়ে দলীয় কোন্দল আরো মাথা চড়া দিয়ে উঠতে পারে। এমনকি পাল্টা কমিটি ঘোষণা করার আশংকাও করছে অনেক নেতাকর্মী।
বিএনপির দুর্দিনে যার বিচরণ ছিল দলীয় সমাবেশসহ মিছিল-মিটিংয়ে যিনি দিনের অধিকাংশ সময় খেয়ে না খেয়ে উপজেলা বিএনপি অফিসে উপস্থিত থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি করে দলকে চাঙ্গা রাখতেন সেই ত্যাগী নেতা উপজেলা কমিটিতে পূর্ণবার দপ্তর সম্পাদক হিসাবে মনোনীত আব্দুল মালেক মানিক দুঃখ করে জানান, দল করে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও হাল ছাড়িনি। কিন্তু হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মাসভর তাকে কাটাতে হয়েছে অনেক দুঃখ দূর্দশার ভিতরে। অথচ সরওয়ার জাহান চৌধুরী ছাড়া তাকে সহানুভূতি জানানোর জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। এ যদি দলীয় নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন বলে বিবেচিত হয় তা হবে খুবই দুঃখজনক।
উপজেলা বিএনপির ৩নং সহ-সভাপতি পদে মনোনীত হয়ে যিনি স্ব-ইচ্ছায় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন, সেই আরেক ত্যাগী ও সাহসী নেতা অধ্যাপক তহিদুল আলম তহিদ জানান, ওয়ান ইলাভেনে যেসব নেতাকর্মী দূরে থেকে দলের তামাশা দেখেছে তাদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। তিনি উপজেলা বিএনপির কমিটিকে সরওয়ার-সুলতান কমিটি আখ্যায়িত করে বলেন, উড়ে এসে জুড়ে বসে আলমগীর কমিটি নামধারী একটি বিকল্প কমিটির কাছে যেসব ত্যাগী নেতাকর্মীরা পথে ঘাটে লাঞ্চিত হয়েছে তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। মূল্যায়ন করা হয়েছে সেই সময়কার বিদ্রোহী নেতাকর্মীদের। তিনি প্রবাসীদের কমিটিতে স্থান দিয়ে দলের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজ করা হয়েছে দাবী করে বলেন, শহীদ জিয়া ও বেগম জিয়ার আর্দশের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরী জানান, যেসব নেতাকর্মী রাজপথে মাঠে ময়দানে বিরোধী দলের ভূমিকা রেখেছে দল তাদের মূল্যায়ন করেছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরওয়ার জাহান চৌধুরী জানান, বিএনপি একটি বড়দল হিসাবে বিভিন্ন মতাবলম্বী নেতাকর্মী থাকতে পারে। যারা প্রকৃতপক্ষে দল করে সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের উপর আস্থা রাখে তারাই জানে কাকে আনলে দল উপকৃত হবে। তিনি বলেন, জেলা কমিটির সিদ্ধান্তের অনুবলে উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে তাদের কোন প্রভাব খাটানোর কথা নয়।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির এক শীর্ষ নেতা সাংবাদিকদের জানান, যেসব ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি, তারা সংগঠিত হচ্ছে। অচিরেই আরেকটি পাল্টা কমিটি গঠনের আশংকা দেখা দিয়েছে।

পাঠকের মতামত

বান্দরবানে কেএনএফের আস্তানায় যৌথ বাহিনীর অভিযান, নিহত ৩

বান্দরবানের রুমা উপজেলার রনিন পাড়ার কাছে ডেবাছড়া এলাকায় কেএনএফের একটি আস্তানায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর ...