
উখিয়া কক্সবাজার সড়কে যাত্রী সেবার নামে বহুল পরিচিত সী-লাইন ও কক্স লাইন সার্ভিস গুলো অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে অবাধে চলছে।
চার চাকা বিশিষ্ট এসব গাড়ি টেম্পোর মতই স্থানীয় (লোকাল) যাত্রী নিয়ে চলাচল করে।
আর এসব গাড়িতে নির্ধারিত যাত্রীর চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হয় প্রতিনিয়ত। ফলে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। এছাড়া নির্দিষ্ট সীট থাকার পরেও অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে মালিক-শ্রমিকপক্ষ অতিরিক্ত মুনাফা আয় করলেও এগুলো দেখার যেন কেউ নেই।
সী-লাইন ও কক্সলাইনের ভাড়া হল ৩৫ টাকা। প্রায় যাত্রী ভাড়া বাঁচাতে এই সব গাড়ি ব্যবহার করে। যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছতে নির্দিষ্ট ভাড়া দিলেও দেখা যায় গাড়িতে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে থাকে ড্রাইভার ও হেলপার।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ২৫জন যাত্রীর সীট থাকলেও প্রায়ই এসব গাড়িকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। এছাড়া যেকোনো স্থানে যাত্রী দেখলেই যত্রতত্র থামিয়ে যাত্রী উঠানো হয়। এতে যানজটসহ মানুষের ভোগান্তি বাড়ে।
এছাড়া সী লাইন ও কক্স লাইন পরিবহন দুটিতে ছাত্রী ও মহিলা যাত্রীরা হেনস্থা ও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিশেষ করে স্কুল,কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের বিড়ম্বনাটা একটু বেশি। সী লাইন ও কক্স লাইনে অতিরিক্ত যাত্রী তোলার কারনে মহিলা ও ছাত্রীরা বিড়ম্বনার শিকার হয়। বিশেষ করে পাশে বসে থাকা ছাত্রী ও নারীদের গায়ে হাত দেয়া, ঘেঁষে দাঁড়ানো,ঘুমের ভান করে নারীর শরীরে হেলে পড়া,দাঁড়িয়ে থাকলে পেছন থেকে সামনে ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা দেয়া হয়।
রাস্তায় নির্বিচারে এসব গাড়িতে নির্ধারিত যাত্রীর চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও এগুলোকে আইনের আওতায় আনার যেন কেউ নেই। ফলে এসব গাড়ি অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে লক্কর-ঝক্কড় মার্কার কারণে প্রায়ই রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ে, দুর্ঘটনা কবলিত হয় এবং রাস্তায় হঠাৎ নষ্ট ও দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার কারণে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
নিয়মিত চলাচলকারী যাত্রী শরিফ মাহমুদ শাহজাদা, জয়নাল আবেদীন, আরিফুল ইসলাম, শামস আলম মানিক, জসিম খান, শফিউল আলম, আবদুল্লাহ আল মামুন, রুমানা ইসলাম সহ আরো কয়েকজন বলেন, সড়কে যেভাবে সী-লাইন, কক্স লাইন অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করে, এতে সবসময়ই ঝুঁকি থাকে। অতিরিক্ত যাত্রী বহন করলেও ট্রাফিক বিভাগ ‘রহস্যজনক’ কারণে যেন দেখেও না দেখার ভান করে। ফলে নিত্য দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পাঠকের মতামত