
হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া ::
টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে উখিয়ায় জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসছে। নিুাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি ঘরে ঘরে হাটু পানি জমে চুলায় রান্না করতে না পারায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে অনেককে। সড়কগুলো এখন পানিতে থৈ থৈ। থাইংখালী,পালংখালী,বালুখালী,কুতুপালং,উখিয়া সদর,ঘিলাতলী পাড়া, মহুরী পাড়া, ফলিয়া পাড়া, মাছকারিয়া,হাজির পাড়া,মৌলভি পাড়া,সিকদারবিল মালভিটা, রতœাপালং,ভালুকিয়াপালং, কোটবাজার,চৌধুরীপাড়া, গোরাইয়ারদ্বীপ,উপক’লীয় এলাকা জালিয়া পালংসহ আরও অনেক এলাকার রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় মানুষ সীমাহীন কষ্টে পড়েছে। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উখিয়ার জনজীবন। উখিয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টিতে এখানকার অলিগলিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন বাড়ি ঘরের টয়লেট ও ড্রেন থেকে ময়লা আবর্জনা উঠে সড়কে ছড়িয়ে পড়েছে। পানিতে ডুবে থাকায় রাস্তাগুলোও ভেঙে একাকার হয়ে পড়েছে। জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে পড়ে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। সকালে জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীদের হাঁটুপানি ডিঙিয়ে যেতে হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। উখিয়া কেজি স্কুলের ক্লাশ ও অফিস রুম হাটু পানিতে থৈ থৈ করছে। ফলে স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃষ্টির ভোগান্তির পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে পরিবহন সংকটও। সুযোগ পেয়ে রিকসা,টমটম,সিএনজি চালকরা হাঁকছেন দু-তিন গুণ ভাড়া। বৈরী আবহাওয়ার কারণে বালুখালী ও কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ভাসমান মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। তারা বস্তির অস্থায়ী আস্তানায় অমানবিক জীবনযাপন করছে। স্থানীয় হতদরিদ্র পরিবারের ক্ষতি হয়েছে সব চাইতে বেশি। মোরার আঘাতে ধাক্কার পর ধাক্কা,সর্বশেষ গত ৫ জুলাই প্রবল বর্ষণে এসব অসহায় মানুষের বিপদ কাটঠে না এবং থামছে না হাহাকার। ৬ জুলাই প্রবল বৃষ্টি না হওয়ার কারণে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করছে।
পাঠকের মতামত