বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৮/০৪/২০২৪ ১০:০০ এএম , আপডেট: ২৮/০৪/২০২৪ ৩:৪২ পিএম
উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কার্যালয়

তালিকাভুক্ত ৭ ইলেক্ট্রিশিয়ান থাকলেও উখিয়া পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির হয়ে ৪০ জনের অধিক অবৈধ ইলেক্ট্রিশিয়ান কাজ করেন।

নতুন সংযোগ প্রদানে বাড়তি টাকা আদায়, বিল বকেয়ার অজুহাতে গ্রাহক হয়রানি, সেচ মিটারের বিনিময়ে মোটা অংকের লেনদেন সহ নানা অপরাধে জড়িত এসব ইলেক্ট্রিশিয়ানরা।

অভিযোগ আছে, পল্লীবিদ্যুৎ এর এক কর্মকর্তার আশ্রয়ে চলে অনুমোদন ছাড়াই কাজ করা এসব ইলেক্ট্রিশিয়ানদের অপকর্ম।

গোপালের নিয়ন্ত্রণে চলে সিন্ডিকেট

ইলেক্ট্রিশিয়ান,মিটার রিডারের ভূয়া পরিচয়ে উখিয়া পল্লীবিদ্যুৎ এর সামনে থাকা চায়ের দোকান ও কম্পিউটারের দোকান ঘিরে চলতে থাকে যাদের দৌরাত্ম্য, নানা কারণে গ্রাহকরা তাদের খপ্পরে পড়ে পোহান ভোগান্তি।

দ্রুত মিটার পাইয়ে দেওয়ার নাম করে নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে সরকারি ফির বাইরে ৫ থেকে ১৫  হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় ভূয়া পরিচয় ব্যবহার করা দালালরা।

এছাড়াও সেচ মিটার এর কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও ৫০ থেকে ৬৫ হাজার পর্যন্ত মোটা অংকের টাকা চাওয়া হয়।
রাজাপালং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দরগাহ বিল এলাকার ফকির আহমদের ছেলে আলী আহমদ জানান, ৬৬ হাজার টাকা এটার সেচ মিটারের বিনিময়ে পল্লীবিদ্যুৎ এর ওয়ারিং ইন্সপেক্টর গোপাল তার কাছে ৬৬ হাজার টাকা দাবী করেছেন।

সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিতেও লাখ টাকা লেনদেন করে কথিত গোপাল দাদার এই চক্র।
এদিকে মার্চের শুরুতে কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগের আওতাধীন উখিয়া রেঞ্জের থাইংখালী বিটভুক্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ সংযোগ প্রদানে জড়িত পল্লীবিদ্যুৎ এর ৪ কর্মচারীকে আটক করে বনবিভাগ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোপালের নিয়ন্ত্রিত সিন্ডিকেটের সদস্য খোরশেদ, ইমাম উদ্দীন,জসিম, আব্বুইয়া, সালা উদ্দিন সহ ৪০ জনের মতো ভূয়া ইলেক্ট্রিশিয়ান।

অভিযুক্ত গোপালের দাবি তিনি কোন সিন্ডিকেট পরিচালনা করেন না। গোপাল বলেন, ” আমার নাম ব্যবহার করলেই তো আমি অপরাধী না।”

তিনি স্বীকার করেন, অনেক ইলেক্ট্রিশিয়ান কাজের চাহিদা থাকায় পল্লীবিদ্যুৎ কে সহায়তা করে থাকেন। গোপালের মতে, সখ্যতা থাকাটা দোষের কিছু না।!

সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে উখিয়া পল্লীবিদ্যুৎ এর ডিজিএম কাইজার নূর এর মুঠোফোনে বারবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
এ ছাড়াও গ্রাহকের অভিযোগ, কোনো সেবার জন্য একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন না।

প্রায় ৭০ হাজার গ্রাহক কে সেবা দেয় উখিয়া পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি, সাধারণ গ্রাহকদের প্রত্যাশা ভোগান্তি কমাতে হয়রানিতে জড়িত কথিত এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।

পাঠকের মতামত

গদি নেই তবু সাবেক এমপি বদি!

আবদুর রহমান বদি। কক্সবাজার-৪ আসনের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য ছিলেন, তাও আবার ক্ষমতাসীন দলের টিকিটে। মাদক ...

মিয়ানমারে সশস্ত্র লড়াই: আরাকান আর্মির কাছে গুরুত্বহীন রোহিঙ্গারা

মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর নির্যাতনের অবসান ঘটিয়ে নিজেদের জাতিসত্তার স্বীকৃতি আদায় এবং রাখাইন রাজ্যে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার ...