মোহাম্মদ ইব্রাহিম মোস্তফা, উখিয়া
প্রকাশিত: ২৬/১১/২০২৫ ৪:৫৬ পিএম

কক্সবাজারের উখিয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী–২০২৫ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন এবং প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উদ্যোগে র‍্যালি, প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ছৈয়দ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ খাত দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আধুনিক প্রযুক্তি ও নিরাপদ পশুপালন পদ্ধতি ছড়িয়ে দিতে এ ধরনের আয়োজন বড় ভূমিকা রাখে। স্থানীয় খামারিদের উৎপাদন বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ও বাজার ব্যবস্থাপনায় উপজেলা প্রশাসন সবসময় সহযোগিতা করে যাবে। তরুণ ও নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে—কারণ প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ দেশের অগ্রযাত্রায় নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. ছৈয়দ হোসেন বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ১০ জন নারী ভ্যাকসিনেটর তৈরি করেছি। তাদের সম্পূর্ণভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। উখিয়া সদর পাতাবাড়ি স্কুলে সাড়ে তিনশত শিক্ষার্থীর জন্য বিনামূল্যে দুধ ও ডিম খাওয়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা এই কার্যক্রমটি পর্যায়ক্রমে প্রতিটি বিদ্যালয়ে বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। পশুপালনে আধুনিক প্রযুক্তি, নিয়মিত টিকা এবং রোগ-ব্যাধি প্রতিরোধে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে। প্রাণিসম্পদ উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে কৃষক, খামারি ও উদ্যোক্তাদের আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাব।

উখিয়া প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক সাঈদ মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, উখিয়া প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক সাঈদ মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, তরুণরা শুধু চাকরির পিছনে না ঘুরে নিজ নিজ উদ্যোগে উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। প্রাণিসম্পদ খাতে এখন অসীম সম্ভাবনা—গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি কিংবা দুগ্ধ খাতে সঠিক প্রশিক্ষণ ও সরকারি সহযোগিতা পেলে তরুণরা সফলভাবে ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবে। তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টি হলে দেশের কর্মসংস্থান বাড়বে, গ্রামীণ অর্থনীতিও হবে আরও শক্তিশালী।

তরুণ খামারি ছয়তারা এগ্রোর পরিচালক রাজাউল কবির রেজা বলেন, আমার খামারে আমরা বিভিন্ন প্রজাতির গরু ও মহিষ পালন করছি। আধুনিক ব্যবস্থাপনা ও নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছি। সরকার ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের সহযোগিতা নিয়ে এই কাজ পরিচালনা করছি৷ আমাদের খামারে রোগ প্রতিরোধ, মানসম্পন্ন খাদ্য উৎপাদন, বাজার সুবিধা এবং প্রশিক্ষণভিত্তিক কারিগরি সহায়তা আরও বাড়ানো গেলে প্রাণিসম্পদ খাত দ্রুত এগিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর শাহেদুল ইসলাম রোমান চৌধুরী, উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নায়েম ভূঁইয়া, একাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আলম, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আবুল কালাম, উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুল কাসেম ও তৌহিদ, ছয়তারা এগ্রোর পরিচালক রাজাউল কবির রেজা ও ইমু এগ্রোর পরিচালক বাদশা সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, খামারি ও উদ্যোক্তারা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় কোরিয়ার ৫০ লাখ ডলার অনুদান

কক্সবাজারে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) ৫০ লাখ মার্কিন ...

পল্লীবিদ্যুৎকে দায়ী করছে বনবিভাগবৈদ্যুতিক ফাঁদে উখিয়ায় বন্যহাতি নিধন

কক্সবাজারের উখিয়ায় আবারো বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে উপজেলার রাজাপালং ...

টেকনাফে বাজার সমুহে যানজটমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান জোরদারের দাবী

টেকনাফের বিভিন্ন বাজার সমূহে প্রতিনিয়ত যানজটে জনজীবন অতীষ্ট হয়ে পড়েছে সর্বস্তরের মানুষ। যানজটের জন্য ব্যবসায়ীসহ ...