প্রকাশিত: ১২/০৫/২০১৬ ১১:০৫ পিএম

upশহিদুল ইসলাম:: উখিয়া উপজেলার ৬ ষ্ট দাপের ইউপি নির্বাচন নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ৪ জুন এ উপজেলায় ৫ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রার্থীদের যাচাই বাচাই সম্পূর্ণ হয়েছে।
ভোটরদের ধারনা ৫ টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনেনীত প্রার্থী নৌকা ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ধানের শীষের মধ্যে লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ৪ টি ইউনিয়নে যাচাই – বাচাই শেষে আওয়ামীলীগ বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছে। নির্বাচনী এলাকা ঘুরে জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আওয়ামীলীগ বি এনপির নেতারাও সুবিধা জনক অবস্থানে রয়েছেন।
এ পর্যন্ত ৫ টি ইউনিয়নে ২৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৪৬ জন মেম্বার প্রার্থী ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের ৬৭ জন মহিলা প্রার্থীরা গতকাল বৃহস্পতিবার যাচাই বাচাইয়ের শেষ দিনে চুড়ান্ত রয়েছে। প্রার্থীরা নির্বাচনী অফিস উদ্ধোধন করেও প্রচারনায় নেতা কর্মীদের কাজে ব্যস্থ রেখেছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার নুরুল ইসলাম জানান, যাচাই বাচাইকালে বুধবার ও বৃহ্স্পতিবার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের এ কজন মেম্বার প্রার্থী ও পালংখালী ইউনিয়নে একজন মেম্বার প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
জানা গেছে, ৪ নং রাজাপালং ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে লড়ছে। অপর দিকে একই ইউনিয়নে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ধানের শীষ নিয়ে লড়ছেন সাবেক সংসদ সদস্য শাহ জাহান চৌধুরীর ছেলে তারেক মাহমুদ চৌধুরী রাজিব। পালংখালী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হয়েছেন শাহদাৎ হোসেন জুয়েল, বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলী আহম্মদ মাঠে ময়দানে কাজ করছে। বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হেলাল উদ্দিন, নাগরিক পরিষদের ব্যানারে বিএনপি নেতা বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান এম, গফুর উদ্দিন চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রাথী হিসাবে জামায়াত নেতা হাফেজ শাহ আলম মাঠ ছাড়ছেনা। রতœাপালং ইউনিয়নে সাবেক জামায়াত নেতা নুরুল কবির চৌধুরী ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় জেলা বিএনপির সদস্য খাইরুল আলম চৌধুরী ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিনও মাঠে রয়েছে। একই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে কাজ করছেন নুরুল হুদা। হলদিয়াপালং ইউনিয়নে মন্ত্রী পরিষদের সচিব সফিউল আলমের ছোট ভাই মোঃ শাহ আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়লেও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল হক আমিন ও আওয়ামীলীগ নেতা মাহবুব আলম। একই ইউনিয়নে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এস এম, শামশুল আলম বাবুল কোমর বেধেঁ মন্ত্রী পরিষদ সচিবের ভাইকে পরাজিত করতে মাঠে রয়েছে।
জালিয়াপালং ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী এস, এম ছৈয়দ আলম , যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান মাঠে কাজ করছেন। বি এনপির মনোনীত প্রার্থী নুরুল আমিন চৌধুরীকে একক প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনী মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। সচেতন মহলের ধারনা , উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নে একজন ক্ষমতাধর সচিবের ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় সাধারন ভোটাররা সংকোচিত।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু, দৈনিক উৎপাদন ৩০ মেগাওয়াট

কক্সবাজার সদর উপজেলার বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল উপকূলে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছেছবি: প্রথম আলো কক্সবাজার সদর উপজেলার ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টার্গেট কিলিং!

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চলছে ‘টার্গেট কিলিং’। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড ...

জান্নাতুলকে খুনের কথা আদালতে স্বীকার করলেন কক্সবাজারের রেজা

রাজধানীর পান্থপথে আবাসিক হোটেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ...

খাদ্য সংকটে সেন্টমার্টিন

হেলাল উদ্দিন সাগর :: বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ...