প্রকাশিত: ২২/০৯/২০২১ ১১:০৮ এএম , আপডেট: ২২/০৯/২০২১ ১১:১৪ এএম

মুহাম্মদ হানিফ আজাদ, উখিয়া ::
উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ডেইল পাড়া এলাকা ইয়াবার ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে পরিচিত। মায়ানমার থেকে ইয়াবার চালান এসে এই খানেই জমা হয় বলে নিশ্চিত হয় বলে জানিয়েছেন একাধিক সুত্র। এই এলাকায় শতাধিক ইয়াবার পাইকারি ব্যবসায়ী থাকলেও তারা সব সময় রয়ে যাই আডালে। বন্ধুক যুদ্ধে নিহত শাহাজাহানের মৃত্যুর পর এলাকাবাসী শীর্ষ কারবারিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক ইয়াবা কারবারি প্রশাসনের চোখ ফাকি দিতে গা ঢাকা দিচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে নির্ভরযোগ্য সুত্র।অনেকেই আবার প্রশাসনের কিছু অসাধু ব্যাক্তির সাথে মিলে মিশে এই মরননেশা ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলেন, প্রতিনিয়ত ইয়াবার চালান আটক হলেও সেটা পর্যাপ্ত নয়। ডেইল পাড়া এখন ইয়াবার ট্রানজিট পয়েন্ট। মিয়ানমার থেকে আসার পর ইয়াবার চালান ডেইল পাড়ার বিভিন্ন গুলামে জমা হয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যায়। রোহিঙ্গা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হয়।স্থারীয়রা মনে করেন, ইয়াবা বন্ধ করতে হলে ডেইল পাড়া সীমান্তে যত বড় বড় মাদক কারবারি আছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। শুধু মাত্র চনুপটিদের ক্রসফায়ার দিয়ে ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ করা সম্ভব নয়।স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা করবারি শমশু আলমের ছেলে মোহাম্মদ ইনুছ, মনসুর আলীর ছেলে ইব্রাহীম কালু, ফরিদ আলমের ছেলে জাফর আলম, মৌলভী বাদশা মিয়ার ছেলে রফিক আলম রুফু, মৃত খলিল উয়াজিদ গিরির ছেলে নুর হোসেন প্রকাশ চেয়ারম্যান কালু, ছব্বির আহম্মদের ছেলে ইয়াবা জসিম উদ্দিন, শহর আলীর ছেলে মোহাম্মদ ওসমান ধরা ছোয়ার বাইরে। তাদের নিয়ন্ত্রন করা গেলেই ইয়াবা ব্যবসা অনেকটাই কমে আসবে। এছাড়াও ডেইল পাড়া ও করই বনিয়ার শীর্ষ ইয়াবা কারবারিদের তালিকায় রয়েছে, মৌলভী বাদশা মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, মোরশেদ আলমের ছেলে ইকবাল, আজিজুর রহমানের ছেলে শামসুল আলম, চেহের আলীর ছেলে কামাল উদ্দিন, আহাম্মদ হোছন প্রকাশ রোহিঙ্গা হোছন , হোছন আলীর ছেলে আনোয়ার ইসলাম, ছমি উদ্দিনের ছেলে মন্ছুর আলী, কালু মিয়ার ছেলে ছৈয়দ হোছন, মাষ্টার ছৈয়দ আহাম্মদের ছেলে আবদুল আলম, মির কাশেমের ছেলে জসিম, মোহাম্মদ হোছনের ছেলে ছৈয়দ উল্লাহ, জামাল উদ্দিনের ছেলে আমিন উদ্দিন, ছমি উদ্দিনের ছেলে আলী আহাম্মদ, আমির হোছনের ছেলে শাহা জাহান, নুর আলীর ছেলে লোকমান হাকিম, বলকিছ খাতুনের ছেলে আমিন, নুর হোছনের ছেলে গুরা মিয়া, ছৈয়দ নুরের ছেলে গুরা মিয়া, ছৈয়দ নুরের ছেলে মামুন, ছৈয়দ করিমের ছেলে তাহের, ছমি উদ্দিনের ছেলে নুর মোঃ ননা, নুরুল ইসলামের ছেলে রফিক উদ্দিন, গনু মিয়ার ছেলে আমিন, সোলতান আহাম্মদের ছেলে বাবুল, নুরুল ইসলামের ছেলে ফারুক, মোহাম্মদ রাহাদের ছেলে গুরা মিয়া, ফইজা খাতুর ছেলে ছৈয়দ নুর, মোহাম্মদ কালুর ছেলে শাহা জাহান, মোহাম্মদ আলমের ছেলে কপিল উদ্দিন সহ অনেকেই। এদের আইনের আওতায় আনা গেলেই ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।এ ব্যাপারে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সন্জুর মুরশেদ বলেন, উখিয়া থানা পুলিশ সব সময় মাদকের বিরোদ্ধে জিরু টলারেন্স নিতি বিশ্বাস করে কাজ করছে। কারো অনুরোধ বা তদবির উখিয়া থানায় চলেনা। যেখানে মাদক কারবারীদের গন্ধ পাচ্ছি সেখানে অভিযান চলমান রয়েছে।

পাঠকের মতামত

প্রবাসীর লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ স্বজনের

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর ইউনিয়নের তালুকদার পাড়ার প্রবাসী মোহাম্মদ রুবেলের মরদেহ দেশে ফিরেছে একটি কফিনে ...

ছেলের বিয়েতে আ.লীগ নেতা, গ্রেফতারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বিয়ে কেন্দ্র করে বোয়ালখালী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাহেদুল হককে গ্রেফতারের ...

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, চট্টগ্রাম -কক্সবাজার সড়ক অবরোধ

চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর ...

কক্সবাজারের সাবেক জেলা জজ-ডিসিসহ পাঁচজনের বিচার শুরু

কক্সবাজারের মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক ...