উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫/১০/২০২২ ১১:৪০ এএম

কক্সবাজারের ইনানীতে লাল কাঁকড়া সংরক্ষণের সরকারি উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। এটি পর্যটনশিল্পে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মত প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। স ম্পূর্ণ ইকো সিস্টেমে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সীমানা প্রাচীরের মাধ্যমে জন চলাচল সীমিত করে জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্যেগটি বাস্তবায়ন হলে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলবে বলে মনে করেন তারা।

কক্সবাজার শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে ইনানীর মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন ইমামের ডেইল এলাকায় সৈকতের বালিয়াড়িতে লাল কাঁকড়া সংরক্ষণের সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। সম্প্রতি তিনি ঐ এলাকায় সৈকতের বালিয়াড়িতে লাল কাঁকড়ার প্রজনন বাড়াতে নির্ধারিত এলাকায় সম্পূর্ণ ইকো সিস্টেমে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সীমানা প্রাচীর দেওয়ার কাজ শুরু করেন। কিন্তু তার এ উদ্যোগকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পরিবেশ ধ্বংসের ধোঁয়া তুলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে কিছু অসাধু ব্যক্তি।

স্থানীয়দের এ ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে ২৩ অক্টোবর কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সরেজমিনে ঘুরে দেখেন উখিয়া উপজেলা ইমামের ডেইলের সে লাল কাঁকড়া সংরক্ষণের স্থান।এতে দেখা যায় ইনানীর মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন এ ইমামের ডেইল এলাকায় লাল কাঁকড়া সংরক্ষণের ক্ষেত্রে পরিবেশ ধংসের কিছু দেখতে পাইনি তারা। লাল কাকড়ার বিচরণ ক্ষেত্রে চলাচল বন্ধ রাখা গেলে এটির বংশ বিস্তার আরও বাড়বে।

স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বলেন, ‘এখানে ঘুরে দেখেছি কাঁকড়া সংরক্ষণের সরকারি উদ্যোগ প্রসংশনীয়। এটি পর্যটনশিল্পে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’

কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ বলেন, উখিয়ার ইউএনও কাঁকড়া সংরক্ষণের কাজ ছাড়াও তিনি উক্ত এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপন করেছেন।তাহার এই ব্যাতিক্রমি উদ্যোগটা ইকো ট্যুরিজম সিস্টেমে সম্পুর্ন পরিবেশ সম্মত ভাবে করা হয়েছে। যাতে পরিবেশের কোন ক্ষতি হয়নি। বরং পর্যটক আকর্ষণে একটা ভিন্ন মাত্র যোগ হয়েছে। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের লাল কাঁকড়া সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া ব্যাপারটি পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্র যোগ করবে। তার এ উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোছাইন সজিব বলেন, এখানে বাণিজ্যিক কোনো উদ্দেশ্য নেই। সম্পূর্ণ ইকো সিস্টেমে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সীমানা প্রাচীর দিয়ে জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছি। তাতে কিছু অসাধু ব্যক্তি আমার এ উদ্যোগটাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পরিবেশ ধংসের ধোঁয়া তুলেছে।এটি গুগল চার্চের মাধ্যমে দেখে লাল কাঁকড়া সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছি, যা পর্যটকদের আরও বেশি আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করেছি।

উখিয়ার ইনানী মেরিন ড্রাইভের পাশের সৈকতে এই লাল কাঁকড়া যথাযথ সংরক্ষণ হলে যা কক্সবাজারে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াবে এমনটাই মনে করেছেন সচেতন মহল।

পাঠকের মতামত