ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৭/০২/২০২৩ ৮:১৪ এএম

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান আবারও জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর শুভেচ্ছা দূত হয়েছেন। টানা কয়েক বছর শরণার্থীদের জন্য কাজ করার ধারাবাহিকতায় তাহসান খান, যিনি তাহসান নামে জনপ্রিয়, আজ শরণার্থীদের সাথে আরও দুই বছর কাজ করার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

তাহসান খান বলেন, “ইউএনএইচসিআর-এর শুভেচ্ছা দূত হিসেবে মানবতার জন্য কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করা একটি সম্মানের বিষয়। আমি এটা ভেবে আনন্দিত যে আমি সামনের দিনগুলোতে শরণার্থীদের জন্য আমার কাজ চালিয়ে যাব। আমি আশা করি ইউএনএইচসিআর-এর সাথে আমার কাজের মাধ্যমে আমি শরণার্থীদের সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং স্থানীয় জনগণ ও শরণার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি আনতে একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারবো”।
তাহসান খান শরণার্থীদের বিষয়ে জানতে ও জানাতে ইউএনএইচসিআর-এর সাথে কাজ করছেন ২০১৯ সাল থেকে। তিনি প্রতি বছর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছেন, এবং শরণার্থীদের চাহিদা, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যতের আশা সম্পর্কে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে ইউএনএইচসিআরকে সাহায্য করেছেন। তাহসান স্বচক্ষে দেখেছেন রোহিঙ্গাদের চ্যালেঞ্জিং শরণার্থী জীবন; আর দেখেছেন কক্সবাজারে মানবিক কর্মকান্ড কিভাবে প্রতিনিয়ত চলমান। তিনি শরণার্থীদের সাথে দেখা করেছেন, আর বুঝতে পেরেছেন তাদের বাস্তুচ্যুতির মূল কারণগুলো। সংহতি ও সহানুভূতি প্রকাশের মাধ্যমে তিনি মানুষকে জানাচ্ছেন যে রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় তাদের বাড়ি ছেড়ে আসে নি, বরং তাদের নিজ দেশের সহিংসতা থেকে বাঁচতে তারা শরণার্থী হতে বাধ্য হয়েছে।
বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধি ইয়োহানেস ভন ডার ক্লাও বলেন, “তাহসানের সাথে কাজ করা খুবই আনন্দের, এবং তাঁর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্দশা লাঘবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার এই সিদ্ধান্তে আমরা কৃতজ্ঞ। তার অনন্য ব্যক্তিত্ব আমাদের সাহায্য করে মানুষকে বোঝাতে যে শরণার্থীরা শুধুই একটি সংখ্যা নয়, বরং তারাও মানুষ। তাদেরও আছে দুশ্চিন্তা, স্বপ্ন, চাহিদা এবং সম্ভাবনা। নিজ দেশে তাদের জীবন ধ্বংস হয়ে পড়ার পর তারা চায় শরণার্থী জীবনে একটু স্থিতিশীলতা।”

তাহসান বিশ্বব্যাপী ইউএনএইচসিআর-এর ৪০ জন শুভেচ্ছা দূতের একজন; যারা তাদের জনপ্রিয়তা, আত্মত্যাগ ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বিশ্বের প্রতিটি কোণে শরণার্থীদের অবস্থা ও ইউএনএইচসিআর-এর কাজকে তুলে ধরতে সাহায্য করেন। শুভেচ্ছা দূতেরা নিয়মিত বিশ্বকে মনে করিয়ে দেন শরণার্থী ও বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মানুষদের সুরক্ষা, মর্যাদাপূর্ণ জীবন এবং তাদের দুর্দশার সমাধানের প্রয়োজনের কথা।
মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে পালাতে বাধ্য হওয়ার পাঁচ বছর পর প্রায় ৯২৩,০০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী বর্তমানে কক্সবাজারের ঘনবসতিপূর্ণ ক্যাম্পগুলোতে আশ্রিত হয়ে আছে, এর পাশাপাশি প্রায় ৩০,০০০ শরণার্থী রয়েছে ভাসানচরে।

পাঠকের মতামত