প্রকাশিত: ১৯/১১/২০১৯ ১০:১৫ এএম

রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক পরিসরে মামলা দায়ের হওয়ায় মিয়ানমারের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্বীকার করেছে নেপিদো। সরকারের মুখপাত্র জ্য হেতে দাবি করেছেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিচারিক উদ্যোগের কারণে রোহিঙ্গা নিপীড়নের অভ্যন্তরীণ তদন্ত বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সিনহুয়া।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাত লাখেরও বেশি মানুষ। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম, মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এতে গণহত্যার আলামত পেয়েছে। তবে মিয়ানমার তা অস্বীকার করে আসছে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের উদ্যোগও প্রত্যাখ্যান করে আসছে নেপিদো।
মিয়ানমার বলছে, সেনা অভিযানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে সে দেশের অভ্যন্তরীণ একটি তদন্ত কমিটি। তাদের দাবি, ইন্ডিপেনডেন্ট কমিশন অব ইনকোয়ারি (আইসিওই) নামের এই কমিটির তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাকে বিচারের আওতায় নেওয়া হবে। এই রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে সরকারের মুখপাত্র জ্য হেতে শুক্রবার বলেন, ‘আমরা সেটি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সে কারণেই তদন্ত হচ্ছে।’ সেনাবাহিনীও অভ্যন্তরীণ তদন্ত করছে বলে জানান তিনি।
জ্য হেতে আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এ ধরনের উদ্যোগ মিয়ানমারের নিজস্ব তদন্তের উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং এসবের ফলস্বরূপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভয়াবহভাবে মিয়ানমারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। গত সপ্তাহে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা নিপীড়নকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতের (আইসিজে) কাছে বিচার চেয়েছে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। এর কয়েক দিনের মাথায় আর্জেন্টিনাও মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিজেদের আদালতে মামলা দায়ের করে। এ ছাড়া রাখাইনে সেনা অভিযানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কি না তা তদন্তের অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইসিসি। ১৪ নভেম্বর এই অনুমোদন দেওয়া হলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার।
জাতিসংঘের আদালতে (আইসিজে) গাম্বিয়ার মামলা প্রসঙ্গে জ্য হেতে বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এর জবাব দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে আর্জেন্টিনার আদালতে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি এবং সেনাপ্রধানসহ বর্তমান ও সাবেক রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়ে নেপিদো কোনো ব্যবস্থা নেবে না।
জাতিসংঘের আদালতে (আইসিজে) গাম্বিয়ার মামলা প্রসঙ্গে জ্য হেতে বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এর জবাব দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে আর্জেন্টিনার আদালতে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি এবং সেনাপ্রধানসহ বর্তমান ও সাবেক রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে নেপিদো কোনো ব্যবস্থা নেবে না।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে জনগণকে ভোট দিতে বাধ্য করতে ‘নৃশংসতা’ চালাচ্ছে জান্তা: জাতিসংঘ

মিয়ানমারের জান্তা আসন্ন সেনা-নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনে জনগণকে ভোট দিতে বাধ্য করতে সহিংসতা চালাচ্ছে এবং ভয়ভীতিও প্রদর্শন ...

দিল্লির পর কলকাতাতেও বাংলাদেশ উপদূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ

ভারতের নয়াদিল্লির পর এবার কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসের (ডেপুটি হাইকমিশন) সামনে বিক্ষোভ করেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো। মঙ্গলবার ...

ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জাতিসংঘ মহাসচিবের, বিচার নিশ্চিতের আহ্বান

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই যোদ্ধা শরীফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের ...

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শুনানি জানুয়ারিতে

রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানি জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। ...

জেনেভায় রোহিঙ্গা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক, অগ্রগতি তুলে ধরবে বাংলাদেশ

‘গ্লোবাল রিফিউজি ফোরাম (জিআরএফ) প্রোগ্রেস রিভিউ ২০২৫’ শুরু হচ্ছে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ...