প্রকাশিত: ২৪/০৬/২০১৭ ১:৫৮ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:৪৭ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট ::
পাঁচ রোহিঙ্গাসহ ১২ জনকে পনের লাখ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙরে বঙ্গোপসাগরে অভিযান চালিয়ে র‌্যাব সদস্যরা এ বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করে। র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৭৫ কোটি টাকা।
মিফতাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘একটি সংঘবদ্ধ মাদক পাচারকারী সিন্ডিকেট মিয়ানমার থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা চট্টগ্রামে নিয়ে আসছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব সদস্যরা বন্দরের বর্হিনোঙরের সাগরে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় মায়ের দোয়া নামে একটি ট্রলারকে শনাক্ত করে ধাওয়া করে আটক করা হয়। পরে ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে ১৫ লাখ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।’

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ওই ট্রলারে থাকা ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জন রোহিঙ্গা রয়েছে, তারা হলেন- মো. ইসমাঈল (২০), মো. আব্দুল খালেক (২০), মো. সাদ্দাম হোসেন (১৯), নুর আলম (২৫) ও মো. সেলিম (২০)। তারা সবাই টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।

ইয়াবাসহ জব্দ করা ট্রলার (ছবি: চট্টগ্রাম প্রতিনিধি)
ইয়াবাসহ জব্দ করা ট্রলার (ছবি: চট্টগ্রাম প্রতিনিধি)
গ্রেফতার হওয়া অন্য সাতজন হলেন- মহেশখালী উপজেলার নজির আহমেদ ওরফে দুল্লা মাঝি (৫৫) একই উপজেলার খায়রুল আমিন (২০), মো. হাশেম (১৯), মো. জাফর (৩০), মো. খোকন (২৫), আনিসুর রহমান (১৮), বান্দরবানের লামা উপজেলার মো. ছাদেক (২৫)।
র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জানান, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে ইয়াবাগুলোর মালিক চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার নন্দেরখিল এলাকার মো. মমতাজ নামে একজন, যিনি ইয়াবা জগতে ফারুক নামে পরিচিত। জব্দকৃত ট্রলারটি গ্রেফতারকৃত মো. ছাদেকের নামে রেজিস্ট্রি করা থাকলেও এটির মালিকও মমতাজ, আমরা মমতাজকে ধরার চেষ্টা করছি।

তিনি আরও জানান, ট্রলারটি দেখতে সাধারণ মনে হলেও ওই ট্রলার সংস্কার করে হিনো গাড়ির ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। মূলত এই ট্রলার দিয়ে চক্রটি দীর্ঘদিন মাছ ধরার আড়ালে ইয়াবা পাচার করতো।

পাঠকের মতামত

রামু সহিংসতার ১২ বছর আজ

মামলায় আসামী করা হয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের, প্রত্যাহারের দাবি রামু সহিংসতার ১২ বছর আজ। ঘটনার পর ...

ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে মিয়ানমারের ১২০ সেনা ও সীমান্তরক্ষী সদস্যকে

দুই দেশের দূতাবাসের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নাগরিকদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত ...