প্রকাশিত: ২২/১১/২০১৭ ৮:১৪ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১০:৪৫ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::

বিশ্বের ২৯ দেশের নৌ প্রতিনিধিদের সম্মেলন বসছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। উখিয়ার ইনানীতে অবস্থিত হোটেল রয়েল টিউলিপে চারদিনের এ সম্মেলন শুরু হবে আগামী ২৬ নভেম্বর। ভারত মহাসাগরে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলা, উদ্ধার কার্যক্রম, নৌ বাণিজ্য রুট সক্রিয় রাখতেই আয়োজন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর আয়োজনে অনুষ্ঠেয় সম্মেলন উপলক্ষে পর্যটন শিল্পে কক্সবাজারের ব্র্যান্ডিং হওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ঠরা।
জানা গেছে, এ আন্তর্জাতিক সম্মেলন উপলক্ষে ভারত মহাসাগরীয় উপকূলবর্তী ১১ দেশের নৌ-বাহিনীর জাহাজ নৌ-মহড়ায় অংশ নেবে। বঙ্গোপসাগরে আসা বিদেশি জাহাজগুলো দিয়ে আগত নৌবাহিনীর সদস্যরা যাতে হোটেলে পৌঁছাতে পারে সেজন্য উখিয়ার রেজু খালের মোহনায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলছে। সেখানে একটি অস্থায়ী পল্টুন বসানো হবে
জানা যায়, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ গত দুই বছর ধরে ভারত মহাসাগরীয় নেভাল সিম্পোজিয়াম অপারেশন কমিটির চেয়ারম্যান। আগামী বছরের জানুয়ারিতে শেষ হচ্ছে এই দুই বছরের মেয়াদ। ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী নৌ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি, সাগরে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা, প্রযুক্তি হস্তান্তর, তথ্য আদান প্রদান, নৌ-বাণিজ্য রুট জলদুস্য মুক্ত রাখাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ সম্মেলন। সম্মেলনে ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী ১১ দেশের নৌবাহিনীর জাহাজ ও প্রতিনিধি ছাড়াও ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার নৌবাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। সব মিলিয়ে ২৯ দেশের নৌ প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। ২৬ নভেম্বর সম্মেলনের উদ্বোধন হলেও ২৭ নভেম্বর উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত এ সম্মেলন চলবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও নৌবাহিনীর রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বলেন, ভারত মহাসাগর রুট দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৭২ শতাংশ পণ্য আদান প্রদান হয়ে থাকে। এছাড়া তেলের ক্ষেত্রেও এই রুটটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই রুটটি যাতে আরো জনপ্রিয় ও নিরাপদ থাকতে পারে সেজন্য ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোর নৌবাহিনীগুলোর মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। এই সম্মেলন সেই সমন্বয়কে জোরদার করবে। একইসাথে ভারত মহাসাগরে সংঘটিত যেকোনো দুর্যোগে একসাথে কাজ করবে উপকূলবর্তী দেশের নৌবাহিনীগুলো। এ লক্ষ্যে সাগরের মহড়ার পাশাপাশি স্থলভাগেও অনেক কর্মসূচি রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এতে কক্সবাজারেরও ব্র্যান্ডিং হবে। পর্যটনের অপার সম্ভাবনা আমাদের কক্সবাজারের যে সৌন্দর্য ও সম্ভাবনা রয়েছে তা এসব দেশের প্রতিনিধিরা দেখার সুযোগ পাবে।’
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘এ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য অনেক একটা বড় সুযোগ। বিদেশী প্রতিনিধিদের মাধ্যমে কক্সবাজারের ব্র্যান্ডিং হবে। লাভবান হবে পর্যটন শিল্প। বিদেশি অতিথিরা পর্যটন স্থান হিসেবে কক্সবাজারের অপরুপ সৌন্দর্য্যের কথা ছড়িয়ে দেবেন দেশে-দেশে। এতে কক্সবাজারের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষন আরও বাড়বে।’ সুত্র : দৈনিক কক্সবাজার

পাঠকের মতামত

দুই রোহিঙ্গা জাতীয় পরিচয়পত্র বানাতে ভৈরবে এসে আটক

জাতীয় পরিচয়পত্র বানাতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসেছিলেন দুজন রোহিঙ্গা। ...

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...