
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ চ্যানেলে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জন রোহিঙ্গা নাগরিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জনই শিশু। জোয়ারের সময় লাশগুলো ভেসে আসলে স্থানীয়দের দেয়া তথ্যে কোস্টগার্ড ও পুলিশ যৌথভাবে লাশগুলো উদ্ধার করে।
জানা যায়, সোমবার রাত দেড়টায় মগধরা ইউনিয়নের ছোয়াখালি খাট এলাকা থেকে পুলিশ একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সন্তোষপুর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে আরো একটি লাশ উদ্ধার করে। কোস্টগার্ড মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ছোয়াখালি খাট এলাকা থেকে ৪টি লাশ উদ্ধার করে। সন্ধ্যায় বাউরিয়া ইউনিয়ন সংলগ্ন বেড়িবাঁধ থেকে আরো একটি মেয়ে শিশুর লাশ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।
উদ্ধার করা লাশ গুলোর মধ্যে ৬ টি শিশু। এদের মধ্যে আনুমানিক ৬ মাস, ১ বছর, ৫ বছর ও ৬ বছরের ৪টি মেয়ে শিশু এবং ৭ বছরের ২টি ছেলে শিশুসহ মোট ৬ শিশু এবং একজন ৪৫ বছর বয়সী পুরুষ।
সোমবার (১৬ আগস্ট) গুপ্তছড়া ঘাট থেকে একজন এবং ছোয়াখালি খাট এলাকা থেকে একজনসহ মোট দু’মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুই দিনে এ পর্যন্ত সন্দ্বীপ উপকূল থেকে মোট নয়জন রোহিঙ্গা নাগরিকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
সারিকাইত ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ পুলিন চন্দ্র বনিক বলেন, নদীর কূলে লাশ দেখে স্থানীয়রা আমাদের খবর দেয়। পরে আমরা পুলিশ এবং কোস্টগার্ডসহ লাশ উদ্ধার করি
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোস্টগার্ড সারিকাইত কন্টিনজেন্ট কমান্ডার সাজু আহামদ। পূর্বকোণকে তিনি বলেন, গত দুইদিন সন্দ্বীপ থেকে মোট নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহগুলো ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাদের স্বজনরা চিহ্নিত করে দাফনের ব্যবস্থা করবে।
কোস্টগার্ড সূত্রে জানাযায়, গত শুক্রবার রাতে ভাসানচর থেকে পালিয়ে যাওয়ার পথে নৌকা ডুবে ২৭ জন রোহিঙ্গা নাগরিক নিখোঁজ হয়। নৌকায় মোট ৪১ জন রোহিঙ্গা নাগরিক ছিল। এদের মধ্যে ১৪ জন রোহিঙ্গা জেলের নৌকা করে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফিরে আসে। নিখোঁজ রোহিঙ্গাদের মধ্যে বেশিরভাগ শিশু এবং নারী।
পাঠকের মতামত