
১৭ বছর আগে সৌদি আরবে থাকাকালীন হায়দার আলী নিখোঁজ হন। সম্প্রতি এক টিকটকের সূত্রে পাকিস্তানের পেশোয়ার রাজ্যের একটি মানসিক হাসপাতালে তার সন্ধান পাওয়া যায়।
হায়দার আলী রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের পূর্ব মোহাম্মদপুরা গ্রামের মৃত বেলাল উদ্দিনের ছেলে। ২০০৯ সালে সৌদি আরবে মক্কায় মুদি দোকানে কর্মরত অবস্থায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন বহু চেষ্টা করেও তার খোঁজ পাননি। স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ সবাই তার বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন।
সম্প্রতি ‘টিকটক’ প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত হয় এক মানসিক রোগীর ভিডিও! ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হয় তারই খালাতো ভাইয়ের। তিনি এখন দুবাই প্রবাসী। ভিডিওটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে তিনি নিশ্চিত হন, ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিই নিখোঁজ হায়দার আলী। পরে
পরিবারের সদস্যদের কাছে ভিডিওটি পাঠালে তারা নিশ্চিত হন ভিডিওতে থাকা ব্যক্তি হায়দার আলী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি বর্তমানে পাকিস্তানের পেশোয়ারে মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
স্ত্রী নূর আয়েশা বেগম বলেন, ‘স্বামীকে ভিডিওতে দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ি। এতদিন পর তার সন্ধান পাওয়া আমাদের জন্য অলৌকিক ঘটনা। আমার এখন একটাই চাওয়া, তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা। আমি প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করছি
পাঠকের মতামত