প্রকাশিত: ০৬/১২/২০২১ ১১:৫৮ এএম , আপডেট: ০৬/১২/২০২১ ১১:৫৯ এএম

উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালংয়ের ক্লাস পাড়া – বটতলী নামক স্থানে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা আফছার উদ্দিন (৩০) নামক এক যুবককে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে । তিনি কক্সবাজার সরকারি কলেজ থেকে সদ্য অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করে বর্তমানে জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি কক্সবাজার অফিসে কর্মরত।

গুরুতর আহত আফছার বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক রুমখা – ক্লাস পাড়া গ্রামের ঠান্ডা মিয়ার পুত্র । ঘটনাটি ঘটেছে গত ২ ডিসেম্বর সকালে।
এ ব্যাপারে বড় ভাই জামাল মাহমুদ চৌধুরী বাদী হয়ে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এতে মৃত আবদুর শুক্কুরের পুত্র আব্দুল আজিজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও আনোয়ারা বেগম কে প্রধান আসামি করে ৫ জনকে বিবাদী করা হয় । যার মামলা নম্বর ২৮ তারিখ ৫ /১২/২০২১। ধারা ১৪৪/৩৪১/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/ও ৫০৬ পেনাল কোড।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় ঠান্ডা মিয়ার সাথে একই এলাকার মৃত আব্দু শুক্কুরের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও তার ছেলে আব্দুল আজিজ গংয়ের সাথে জায়গা জমি বিরোধ নিয়ে চলে আছিল । এ ঘটনার জের ধরে ঠান্ডা মিয়ার পরিবার-পরিজনের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে । প্রায় সময় প্রাণ নাশের হুমকি সহ দেখে নেয়ার হুমকি দেয় আজিজ গং। উক্ত জমি সংক্রান্ত বিষয়ে স্হানীয় ভাবে একাধিক বার শালিসী বৈঠক বসলেও আব্দুলাহ গং তা মানেনি।
বড় ভাই জামাল মাহমুদ চৌধুরী জানান, আমার ছোট ভাই চাকুরীজীবি আবছার উদ্দিন গত ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে কক্সবাজারের কর্মরত অফিসে যাওয়ার মটর সাইকেল যোগে বের হয়। ওই সময় পূর্ব পরিকল্পনামতে আজিজ, আব্দুল্লাহ, ওয়াহিদুল আলমের নেতৃত্বে একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী ধারালো দা, লাঠি সহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ক্লাস পাড়া – বটতলী সড়কে মটর সাইকেল আরোহী আবছার কে গতিরোধ করে। কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্ষাত্ব করে। শুধু তাই নই মৃত্যু নিশ্চিত করতে ব্রীজ সংলগ্ন জলধারের কাদা মাটিতে ফেলে হাত মুখ চাপিয়া ধরেন। বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার দিলে স্হানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় ।
পিতা বয়োবৃদ্ধ ঠান্ডা মিয়া বলেন, স্হানীয় জনগণ এগিয়ে এসে মারাত্মক রক্তাক্ত অবস্থায় আমার ছেলে কে উদ্ধার করে প্রথমে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে একইদিন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয় ।
তিনি আরও বলেন আমার ছেলে আবছার উদ্দিনকে হত্যা করতে পরিকল্পিতভাবে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে। বর্তমালে তার অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক ।
মামলার বাদী জামাল মাহমুদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেছেন আসামি আজিজ ও আব্দুল্লাহ সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রতিনিয়ত হুমকার দিয়ে বলতেছে বেশি বাড়াবাড়ি করলে চিরতরে খতম করে দেয়া হবে।
এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর শাহজাদা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন । ঘটনায় জড়িত আসামীদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানাম পুলিশ অফিসার ।

পাঠকের মতামত

খেলাভিত্তিক শিক্ষায় ব্র্যাকের তথ্য বিনিময় অনুষ্ঠান

শিশুদের খেলাভিত্তিক শেখা, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ও মনোসামাজিক বিকাশ নিশ্চিতে ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ...

১২ ফেব্রুয়ারি ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া ওয়াজ মাহফিল নিষিদ্ধ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ধর্মীয় প্রচার কার্যক্রমে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। ...