শুভ বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা রইল প্রাণপ্রিয় বন্ধুগণ। তোদের সাথে ছিলাম ভালো, এখনো আছি, পরেও থাকার প্রত্যাশা। যাদের সাথে সবসময়, সারাক্ষণ, স্মরণীয় ভাবে দিন কেটেছে তাদের নিয়েই লেখা…….. এর বাইরেও আমার অনেক বন্ধু আছে যারা সময়ের ব্যবধানে দূরে বা সম্পর্ক একটু হাল্কা। তোদের কেও জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা।….
আমার দুষ্ট বন্ধুদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি নিম্নে—–
★ছোটন(মুমু)—- রুমখার অহংকার। মাধ্যমিক স্কুল থেকে বন্ধুত্ব। বর্তমানে ভার্সিটি লেভেলে অধ্যয়নরত আমার মত বেকার যুবক। এ তো আমার জীবনের বিপদের সঙ্গী। যার কাছে আমি ঋনি বিভিন্ন দিক দিয়ে। যা বন্ধুদের কাথিলে প্রকাশ করলে অসম্মান হয়।
★শাকিল(কামাল)—- হলদিয়ার কৃতি সন্তান। মাধ্যমিক স্কুল থেকে বন্ধুত্ব। একটু ফাকিবাজ। একটা নয় কয়েকটা প্রেমও করে। মা বাবার বড় সন্তান। যেটা না বললে নয় সে বর্তমানে জব ও করে। দুজনের মধ্যে তো ব্যাক্তিগত অনেক মজার রহস্য আছেই।
★মামুন—- মরিচ্যা স্টেশনের গর্ব। কারন স্টেশনেই বাড়ি। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই বন্ধুত্ব মোদের (১৫বছরের)। মা বাবার মেজ সন্তান। বর্তমান অবস্থা অামার মতই লেখাপড়ায় অধ্যয়নরত বেকার। প্রেম করলে মেয়ে ভয় পেয়ে তাকে ছেড়ে দেয় কয়েকমাস পর। বেশি দিন ঠিকে না। গলা টা মাসাল্লা মাইক কে ডিপিট দিবে। জীবনে সবসময় কাছে পেয়েছি।
★ছন্টু—- মরিচ্যা স্টেশনেই বাড়ি। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই বন্ধুত্ব(দীর্ঘ ১৫বছর)। মা বাবার ছোট্ট অাদরের সন্তান(আমার মত)। বর্তমানে লেখাপড়া অধ্যয়নের পাশাপাশি টিওশনি তে ব্যাস্ত। ইনকাম অাছে ভালো। এর কথা তো বলে শেষ করা যাবে না। প্রেম করে কিন্তু বন্ধুদের না জানিয়ে। যদি বন্ধুরা কেড়ে নেয়। এক কথায় প্রাইভেচি ম্যান। কথায় কথায় রাগ টা বেশি। যে রাগ টা ভাঙ্গাতে খুব কস্ট হয়। তবে মন টা খুব ভালো।
★রাশেল—- পশ্চিম মরিচ্যার গর্বিত তারুণ্য। মা বাবার বড় সন্তান। প্রাথমিক থেকেই বন্ধুত্ব(দীর্ঘ ১৫বছরের)। বর্তমান অবস্থা ছন্টুর মতই টিওশনিতে। প্রেম তো করেই না। ফেইজবুকে মাঝে মধ্যে লাইন মারতে চেষ্টা করে মেয়েদের সাথে। হয় না। বৃচ্ছিক রাশি ছেলে। খুব সাদাসিদে বন্ধু। যখন যেখানে ডাকি চলে যায়। সেটা জাহান্নামে হলেও।
★মিজান—- পূর্ব মরিচ্যার সচেতন নামখ্যাত স্টুডেন্ট। প্রাথমিক থেকেই বন্ধুত্ব(দীর্ঘ ১৫বছরের)। বর্তমানে মরিচ্যায় ছোটখাটো ব্যবসায় জড়িত। আমার মতো তেমন বেকার না। প্রেম ও করে চুপিচুপি। শান্ত প্রকৃতির হলেও বুদ্ধি টা বেশি। সবসময় কাছে পেয়েছি।
★ইমন(আমির)—- হলদিয়া পাগলির বিলের গর্বিত প্রেমকুমার। মাধ্যমিক থেকেই বন্ধুত্ব(দীর্ঘ ১০বছরের)। মা বাবার ছোট্ট সন্তান। হলদিয়া ইউনিয়নের সাবেক মহিলা মেম্বারের সুযোগ্য সন্তান। বর্তমানে মরিচ্যা স্টেশনের সফল ব্যবসায়ী(মোবাইল পার্টস এর দোকান)। মিঙ্গেল জীবনেও পদার্পন করল বেশ কিছুদিন আগে। সেটাও লাভ ম্যারেজ। বন্ধুদের না জানিয়ে বিয়ে করল। বন্ধুদের ট্রিট দিতে হবে বলে। একটু কিপ্টা টাইপের। তবে মন টা ভালো।
★ইদ্রিস(সানি)—- পূর্ব মরিচ্যার অহংকারের প্রতীক। প্রাথমিক থেকেই সবার মতো। বর্তমানে নামকরা ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করে। ভালো পোস্টেও অাছে। সেও মিঙ্গেল জীবনে পদার্পন করল অনেক অাগে থেকে। নায়ক হওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল। তাই সবসময় বাংলা সিনেমার ডায়লগ দিতো আর বন্ধুদের লাথি-ঘোষা মাইরা ফাইট করে। এই এক অলৌকিক শক্তির অধিকারী বন্ধু। এরকম হলেও মনটা ফ্রেশ।
★আবছার(পুলিশ)—- হলদিয়ার সম্মান বাঁচিয়ে রাখা এক গর্ব। যিনি বর্তমানে পুলিশে চাকরিরত। যাকে আমরা বন্ধুরা অভিভাকের মতো দাদা বলে ডাকতাম। প্রেম তেম তার দ্বারা সম্ভব না। করেও না। বর্তমানে অনেক ভালো অবস্থায়। খুব ভালো মনের ছেলে।
★মামুন চৌধুরী—- চৌধুরী পাড়ার গর্বিত এক কৃতি সন্তান। উচ্চ মাধ্যমিক থেকেই বন্ধুত্ব( ৫বছরের)। যদিও অল্প সময়ের বন্ধুত্ব কিন্তু ফেলে আসা দশ বছরের চেয়ে স্মরণীয়। বর্তমানে উখিয়া কলেজে অধ্যয়নরত এবং নব-নির্বাচিত ছাত্রলীগ সা. সম্পাদক ওই কলেজের। মন্ত্রী পরিষদ সচিবের ভাইয়ের সন্তান মামুন। খুবি ভালো মনের বন্ধু।
★লিলি(জাহেদা)—- রুমখার নামখ্যাত তরুণীদের তালিকার মধ্যে একজন। মাধ্যমিক থেকেই বন্ধুত্ব(দীর্ঘ ১০বছরের)। বর্তমানে লেখাপড়ায় আছে। এখনো বিয়ের চিন্তা নেই মাথায়। খুব আবেগী মেয়ে। সবসময় আবেগে কান্না করে টিভি অভিনেতা মোশারফের মতো। বন্ধুদের সাথে হঠাৎ আরি হঠাৎ ভালো।
★রুপনা—- চৌধুরী পাড়ার গর্বধার এক সুচরিত্রের অধিকারী মেঘবালিকা। বর্তমানে বিবাহ জীবনে পদার্পন করেছে। বিয়েতে অনেক মজা করেছি বন্ধুরা মিলে। এমন এক মেয়ে বন্ধু জীবনে প্রথম পেয়েছিলাম উচ্চ মাধ্যমিক লেভেলে গিয়ে। বহু গুনে গুনান্বিত এক মমতাময়ী বান্ধবী। আনন্দ, দুষ্টমী, ফাইজলামি সবকিছুর অধিকারী। বর্তমানে শ্বশুর বাড়িতে খুব ভালোই জীবন কাটাচ্ছে।
প্রিয় বন্ধুরা, যাদের কথা উল্লেখ করি নি আসলে তাদের আরো বেশি মিস করছি। কথায় অাছে—- দূরে গেলে মনের বন্ধন গভীর হয়। তোমরা অাবার মন ছোট করোনা। আরে ভাই, সব্বাই তো বন্ধু। বন্ধুরা কি রাগ করে নাকি? একদম না। মিস ইউ…..”
On Aug 6, 2017 9:28 AM, wrote:
সম্মানিত প্রকাশক
এটা আমার একটা ফেইজবুক স্ট্যাটাস বন্ধুদের নিয়ে। অনেক শেয়ার হবে। এটা একটু ছাপানোর অনুরোধ রইল..
“(পড়ার জন্য অনুরোধ রইল)
#হ্যাপি_ফ্রেন্ডশীপ_ডে
শুভ বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা রইল প্রাণপ্রিয় বন্ধুগণ। তোদের সাথে ছিলাম ভালো, এখনো আছি, পরেও থাকার প্রত্যাশা। যাদের সাথে সবসময়, সারাক্ষণ, স্মরণীয় ভাবে দিন কেটেছে তাদের নিয়েই লেখা…….. এর বাইরেও আমার অনেক বন্ধু আছে যারা সময়ের ব্যবধানে দূরে বা সম্পর্ক একটু হাল্কা। তোদের কেও জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা।….
আমার দুষ্ট বন্ধুদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি নিম্নে—–
★ছোটন(মুমু)—- রুমখার অহংকার। মাধ্যমিক স্কুল থেকে বন্ধুত্ব। বর্তমানে ভার্সিটি লেভেলে অধ্যয়নরত আমার মত বেকার যুবক। এ তো আমার জীবনের বিপদের সঙ্গী। যার কাছে আমি ঋনি বিভিন্ন দিক দিয়ে। যা বন্ধুদের কাথিলে প্রকাশ করলে অসম্মান হয়।
★শাকিল(কামাল)—- হলদিয়ার কৃতি সন্তান। মাধ্যমিক স্কুল থেকে বন্ধুত্ব। একটু ফাকিবাজ। একটা নয় কয়েকটা প্রেমও করে। মা বাবার বড় সন্তান। যেটা না বললে নয় সে বর্তমানে জব ও করে। দুজনের মধ্যে তো ব্যাক্তিগত অনেক মজার রহস্য আছেই।
★মামুন—- মরিচ্যা স্টেশনের গর্ব। কারন স্টেশনেই বাড়ি। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই বন্ধুত্ব মোদের (১৫বছরের)। মা বাবার মেজ সন্তান। বর্তমান অবস্থা অামার মতই লেখাপড়ায় অধ্যয়নরত বেকার। প্রেম করলে মেয়ে ভয় পেয়ে তাকে ছেড়ে দেয় কয়েকমাস পর। বেশি দিন ঠিকে না। গলা টা মাসাল্লা মাইক কে ডিপিট দিবে। জীবনে সবসময় কাছে পেয়েছি।
★ছন্টু—- মরিচ্যা স্টেশনেই বাড়ি। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই বন্ধুত্ব(দীর্ঘ ১৫বছর)। মা বাবার ছোট্ট অাদরের সন্তান(আমার মত)। বর্তমানে লেখাপড়া অধ্যয়নের পাশাপাশি টিওশনি তে ব্যাস্ত। ইনকাম অাছে ভালো। এর কথা তো বলে শেষ করা যাবে না। প্রেম করে কিন্তু বন্ধুদের না জানিয়ে। যদি বন্ধুরা কেড়ে নেয়। এক কথায় প্রাইভেচি ম্যান। কথায় কথায় রাগ টা বেশি। যে রাগ টা ভাঙ্গাতে খুব কস্ট হয়। তবে মন টা খুব ভালো।
★রাশেল—- পশ্চিম মরিচ্যার গর্বিত তারুণ্য। মা বাবার বড় সন্তান। প্রাথমিক থেকেই বন্ধুত্ব(দীর্ঘ ১৫বছরের)। বর্তমান অবস্থা ছন্টুর মতই টিওশনিতে। প্রেম তো করেই না। ফেইজবুকে মাঝে মধ্যে লাইন মারতে চেষ্টা করে মেয়েদের সাথে। হয় না। বৃচ্ছিক রাশি ছেলে। খুব সাদাসিদে বন্ধু। যখন যেখানে ডাকি চলে যায়। সেটা জাহান্নামে হলেও।
★মিজান—- পূর্ব মরিচ্যার সচেতন নামখ্যাত স্টুডেন্ট। প্রাথমিক থেকেই বন্ধুত্ব(দীর্ঘ ১৫বছরের)। বর্তমানে মরিচ্যায় ছোটখাটো ব্যবসায় জড়িত। আমার মতো তেমন বেকার না। প্রেম ও করে চুপিচুপি। শান্ত প্রকৃতির হলেও বুদ্ধি টা বেশি। সবসময় কাছে পেয়েছি।
★ইমন(আমির)—- হলদিয়া পাগলির বিলের গর্বিত প্রেমকুমার। মাধ্যমিক থেকেই বন্ধুত্ব(দীর্ঘ ১০বছরের)। মা বাবার ছোট্ট সন্তান। হলদিয়া ইউনিয়নের সাবেক মহিলা মেম্বারের সুযোগ্য সন্তান। বর্তমানে মরিচ্যা স্টেশনের সফল ব্যবসায়ী(মোবাইল পার্টস এর দোকান)। মিঙ্গেল জীবনেও পদার্পন করল বেশ কিছুদিন আগে। সেটাও লাভ ম্যারেজ। বন্ধুদের না জানিয়ে বিয়ে করল। বন্ধুদের ট্রিট দিতে হবে বলে। একটু কিপ্টা টাইপের। তবে মন টা ভালো।
★ইদ্রিস(সানি)—- পূর্ব মরিচ্যার অহংকারের প্রতীক। প্রাথমিক থেকেই সবার মতো। বর্তমানে নামকরা ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করে। ভালো পোস্টেও অাছে। সেও মিঙ্গেল জীবনে পদার্পন করল অনেক অাগে থেকে। নায়ক হওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল। তাই সবসময় বাংলা সিনেমার ডায়লগ দিতো আর বন্ধুদের লাথি-ঘোষা মাইরা ফাইট করে। এই এক অলৌকিক শক্তির অধিকারী বন্ধু। এরকম হলেও মনটা ফ্রেশ।
★আবছার(পুলিশ)—- হলদিয়ার সম্মান বাঁচিয়ে রাখা এক গর্ব। যিনি বর্তমানে পুলিশে চাকরিরত। যাকে আমরা বন্ধুরা অভিভাকের মতো দাদা বলে ডাকতাম। প্রেম তেম তার দ্বারা সম্ভব না। করেও না। বর্তমানে অনেক ভালো অবস্থায়। খুব ভালো মনের ছেলে।
★মামুন চৌধুরী—- চৌধুরী পাড়ার গর্বিত এক কৃতি সন্তান। উচ্চ মাধ্যমিক থেকেই বন্ধুত্ব( ৫বছরের)। যদিও অল্প সময়ের বন্ধুত্ব কিন্তু ফেলে আসা দশ বছরের চেয়ে স্মরণীয়। বর্তমানে উখিয়া কলেজে অধ্যয়নরত এবং নব-নির্বাচিত ছাত্রলীগ সা. সম্পাদক ওই কলেজের। মন্ত্রী পরিষদ সচিবের ভাইয়ের সন্তান মামুন। খুবি ভালো মনের বন্ধু।
★লিলি(জাহেদা)—- রুমখার নামখ্যাত তরুণীদের তালিকার মধ্যে একজন। মাধ্যমিক থেকেই বন্ধুত্ব(দীর্ঘ ১০বছরের)। বর্তমানে লেখাপড়ায় আছে। এখনো বিয়ের চিন্তা নেই মাথায়। খুব আবেগী মেয়ে। সবসময় আবেগে কান্না করে টিভি অভিনেতা মোশারফের মতো। বন্ধুদের সাথে হঠাৎ আরি হঠাৎ ভালো।
★রুপনা—- চৌধুরী পাড়ার গর্বধার এক সুচরিত্রের অধিকারী মেঘবালিকা। বর্তমানে বিবাহ জীবনে পদার্পন করেছে। বিয়েতে অনেক মজা করেছি বন্ধুরা মিলে। এমন এক মেয়ে বন্ধু জীবনে প্রথম পেয়েছিলাম উচ্চ মাধ্যমিক লেভেলে গিয়ে। বহু গুনে গুনান্বিত এক মমতাময়ী বান্ধবী। আনন্দ, দুষ্টমী, ফাইজলামি সবকিছুর অধিকারী। বর্তমানে শ্বশুর বাড়িতে খুব ভালোই জীবন কাটাচ্ছে।
প্রিয় বন্ধুরা, যাদের কথা উল্লেখ করি নি আসলে তাদের আরো বেশি মিস করছি। কথায় অাছে—- দূরে গেলে মনের বন্ধন গভীর হয়। তোমরা অাবার মন ছোট করোনা। আরে ভাই, সব্বাই তো বন্ধু। বন্ধুরা কি রাগ করে নাকি? একদম না। মিস ইউ…..”
পাঠকের মতামত