প্রকাশিত: ২৫/১০/২০১৬ ৭:১৫ এএম , আপডেট: ২৫/১০/২০১৬ ৭:১৫ এএম

টেকনাফ প্রতিনিধিঃ 

টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিলে রেজিষ্টার্ট কবলা মূলে ক্রয় কৃত ১০শতক জমি জবর দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি বিএনপি জামায়াত চক্র। ১০ শতক জমির মধ্যে ১৬ বছরের পুরাতন একটি ৬রুম বিশিষ্ট একটি মিনি মার্কেটের সংস্কার কাজে বাধা প্রধান,জমির খরিদা মালিক কে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে বলে ও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে টেকনাফ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ,একটি সাধারণ ডায়েরি ও করা হয়েছে।    জানা যায়, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল তেচ্ছিব্রীজ নামক গ্রামের মৃর্তু কালামিয়ার পুত্র নুর আহমদ ২০০০ সালের ২৮ আগষ্ট ১৬৪০ নং দলিল মূলে আরএস দাগ-৩৩১৪/৩৪২২ বিএস দাগ-২২৩৬/২২৪০ দাগাদির আন্দর ১০ শতক জমি ক্রয় করে একই এলাকার  মৃর্তু ফকির মোহাম্মদ এর পুত্র শরীফ হোসেন থেকে। উক্ত দাতা থেকে জমি গ্রহীতা নুর আহমদ ২০০০ সালে এতে ৬ রুম বিশিষ্ট একটি সেমি পাকা মার্কেট নির্মাণ করে। মার্কেট নির্মানের ১৬ বছর পর্যন্ত নুর আহমদ ভোগ দখলে থেকে ভাড়া, লাগিয়ত নিজ নিয়ন্ত্রনে করে আসলে ও নুর আহমদের খরিদা ১০ শতক জমি থেকে মার্কেট সংলগ্ন আড়াই শতক জমি ছাড়া বাকি ৭শতকের চেয়ে বেশী জমি দাতা শরীফ হোসেনের বাড়ীর পাশে বে দখল রয়েছে। মার্কেটের বাহিরে অবশিষ্ট ৭ শতক দলিলী জমি দাতা কে বুঝিয়ে দিতে বার বার তাগাদা দিলেও শরীফ হোসেনের আত্বিয়স্বজন  এ পর্যন্ত কালক্ষেপন করে বিক্রিকৃত জমি  না দিয়ে বরং নুর আহমদের ১৬ বছর পূর্বের নির্মাণ করা মার্কেট জবর দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে সম্প্রতি জমি ও মার্কেটের মালিক নুর আহমদের মালিকানাধীন উক্ত মার্কেটের একটি অংশ ভাংচুর করে এলাকার ত্রাস মোঃ রফিক,মোস্তাক,বাবুল,ছৈয়দ হোসেন গং। ভাংচুরে বাধা ও পুনরায় সংস্কার করার চেষ্টা করলে মালিক নুর আহমদ ও তার পরিবার কে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এবিষয়ে জবর দখলকারীদের হাত থেকে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে টেকনাফ থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। জিডি- নং-৫৪৯, তারিখ-১৪.১০.২০১৬।এর কয়েক দিন পর  মোঃ রফিক,মোস্তাক,বাবুল,ছৈয়দ হোসেন গং বে আইনী ভাবে অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মার্কেট জবর দখলের পায়ঁতারা করে।এর পর ২১.১০.২০১৬ ইং নুর আহমদ টেকনাফ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। থানা পুলিশের ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা(তদন্ত) হোয়াইক্যং পুলিশের আইসি এস.আই শাফায়েত কে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলে পুলিশের আইসি এস.আই শাফায়েত আহমদ তদন্ত করতে সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে সরেজমিনে যান। তখন জনৈক নাজির হোসেন পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে দা কিরিছ নিয়ে নুর আহমদের পুত্র সংবাদকর্মী আবছার কবির আকাশ কে জবাই করে ফেলব বলে হুমকি দেয়। অপর দিকে কক্সবাজার থেকে দিল মোহাম্মদ নামক এক যুবক নিজেকে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আপন লোক বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই শাফায়েত আহমদ কে মুঠোফোনে ধমক দেয় এবং বিষয়টি আমার চীফ স্যারের নলেজে আছে। আপনি ঘটনাস্থলে কেন গেছেন ? বলে এস.আই শাফায়েত আহমদ থেকে কৈফিয়ত চায় উক্ত দিল মোহাম্মদ। তার হাত নাকি অনেক লম্বা।                  জানা যায়, দিল মোহাম্মদ দীর্ঘদিন থেকে সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন অফিসারের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন কু কর্মে জড়িয়ে পড়ে। ২০১৫ সালে তার একটি বিতর্কিত বিষয় নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় ঝড় উঠে। এ ব্যাপারে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে দিল মোহাম্মদ ফোন রিসিভ করেনি।

পাঠকের মতামত

রামুর ফতেখাঁরকুলে উপ-নির্বাচনে প্রতীক পেয়ে প্রচারনায় ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী

রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধি ৩ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া ...

টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর মনিরুজ্জামানের সম্পদ জব্দ দুদকের মামলা

টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামানের সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ স্পেশাল ...