নুরুল আমিন হেলালী::
আধুনিক প্রযুক্তির আশির্বাদে প্রিয়জনের কাছে ই-মেইল কিংবা মুঠোফোনের খুদে বার্তার কারণে কমে যাচ্ছে খাতা কলমের চিঠি লেখার প্রবণতা। তাই আগের মত ভিড় নেই জেলার ডাকঘরগুলোতে। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে ডাকহরকরাদের হাঁকডাক। কয়েকবছর আগেও প্রিয়জনের হাতের লেখা চিঠি পাওয়ার জন্যে দিনভর অপেক্ষা করতেন কখন ডাকঘর কর্মীরা ব্যগের ঝুঁলি নিয়ে বাড়িতে আসবেন। এমন একসময় ছিল যখন গ্রাহকের ভিড়ে জেলার সব ডাকঘরগুলো সরগরম ছিল। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, এখন ডাকঘরগুলোতে সুনসান নিরবতা। কমে গেছে ডাকটিকেট ও খাম বিক্রি এবং মানি অর্ডার করা। জেলার কেন্দ্রিয় ডাকঘর ও উপ-ডাকঘরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এখন তেমন কোন কাজ নেই। গ্রামের প্রতিটি পরতে পরতে চিঠি ভর্তি ব্যগের ঝুঁলি নিয়ে রানারদের হাঁকডাক বিলুপ্ত প্রায়। জেলার কয়েকটি উপজেলার ডাকঘর কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, গ্রাহকশুন্য। ডাকঘরের পোষ্টমাষ্টারসহ অন্যান্য কর্মচারীদের অলস সময় পার করতে দেখা যায়। ডাকঘরের খাম ও ডাকটিকিট বিক্রির দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা বলেন, ১৪ বছর যাবৎ ডাকঘরে চাকরি করছি। বছর খানেক আগেও দুই থেকে তিন হাজার টাকার ডাকটিকিট বিক্রি হতো। আর এখন আগের ১০ ভাগের এক ভাগও হয় না। অন্যদিকে মানি অর্ডার কার্যক্রমও একেবারে বন্ধ বললেই চলে। অপরদিকে অনিয়মিত ডাক যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ডাকঘরের ওপর নির্ভরশীল গ্রাহকেরা। স্কুল শিক্ষক মো:শহিদুল্লাহ জানান,আমি কয়েকদিন আগে জরুরি একটি চিঠি পাঠানোর জন্য ডাকঘরে গেলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কয় দিনের মধ্যে চিঠি পৌঁছবে তার নিশ্চয়তা দিতে পারেনি তাই আমি বাধ্য হয়ে চিঠিটি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠিয়েছি। এক ডাককর্মকর্তা বলেন, বেসরকারী পার্সেল সার্ভিস প্রতিষ্টানগুলোর কারণে মানুষ এখন আগের মতো ডাকঘরে আসে না।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কক্সবাজার জেলা শাখার আওতাভুক্ত উখিয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা ...
পাঠকের মতামত